সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যে হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার যে কোনো ঘটনার নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়।

বুধবার (১৯ মার্চ) হোয়াইট হাউসে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন এক সাংবাদিক।

জবাবে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমরা যে কোনো দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার ঘটনাকে নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এটাই প্রত্যাশা করি যে, এটি অব্যাহত থাকবে।’

চলতি সপ্তাহে (১৭ মার্চ) ভারত সফরকালে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড দাবি করেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা এবং ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হুমকি ‘ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও লক্ষ্য’-এর মধ্যে প্রোথিত’।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্বেগের একটি মূল জায়গাজুড়ে’ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সারাবিশ্বে ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের’ ওপর নজর রাখছে এবং একে পরাজিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তুলসী গ্যাবার্ডের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ‘নির্যাতন ও হত্যা’ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।

আরও বলা হয়, ‘এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেশের জন্য মানহানিকর। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের চর্চা করে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের-যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও আছে—এর সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।’
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে