মশা থেকে জনগণকে বাঁচাতে দিনে ২ বার মশার ওষুধ ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে: চসিক মেয়র

মশার উপদ্রব থেকে জনগণকে বাঁচাতে প্রতিদিন দু’বার করে মশা নিয়ন্ত্রণের ঔষধ ছিটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে ঔষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও নতুন কৌশল খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নগরের টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ ৭ কর্মদিবস অনুপস্থিত থাকলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন মেয়র।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মশার ঔষধের পূর্বের ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ঔষধ সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে মশার প্রাদুর্ভাবের কারণে, জনগণকে ডেঙ্গু ও কিউলেক্স থেকে রক্ষায় প্রতিদিন দুই বার মশা নিয়ন্ত্রণের ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। আমি নিজে মাঠ পর্যায়ে মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছি।’

ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০০ পিস ফগার মেশিন ও ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ডেঙ্গু ও মশা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক ফগার মেশিন দান করেছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল পরিষ্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ব্যাকহোলোডার গাড়ি কেনা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনগণকে মশার কামড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষায় সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

মেয়র জনসচেতনতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন জায়গায় নালা, ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার রাখা, লিফলেট বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। অন্যথায়, জনগণের আমরা কোনো উপকারে আসতে পারব না। মশার প্রজনন রোধে, কোথাও ডাবের খোসা, বালতি, নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত রাখা যাবে না। এতে পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। বাসায় টব, বালতিতে দুই তিন দিন পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। খোলা জায়গায় টব রেখে পানি জমা করা যাবে না। কারণ ওখানে পানি জমলেই মশার লার্ভা জন্মাবে।

সভায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।