আসাদ চৌধুরী ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দের তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া জমিদার বাড়িতে একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যারা উলানিয়ার চৌধুরী বংশ হিসাবে পরিচিত। তার পূর্বপুরুষ শায়খ মহম্মদ আসাদ আলী পারস্য থেকে ভারতবর্ষের অযোধ্যা শহরে আসেন। তারপর সেখান থেকে বাংলার মুর্শিদাবাদে আসেন।
শায়খ মহম্মদ আসাদ আলীর নাতির ঘরের নাতির ছেলে মহম্মদ হানিফ ছিলেন সুবাহদার শায়েস্তা খাঁর অন্যতম সেনানায়ক, যিনি মগ-পর্তুগিজ জলদস্যু দমনে কর্মরত এবং গোবিন্দপুরের সংগ্রাম কেল্লার জমাদার ছিলেন। হানিফ বৃহত্তর বরিশালের তেতুলিয়া গাঁওয়ে বসবাস শুরু করেন। এই বংশের মহম্মদ তকি তেঁতুলিয়া জমাদার বাড়ি ছেড়ে উলানিয়ায় বসতি স্থাপন করেন। তার ছেলে হাসন রাজা হলেন আসাদ চৌধুরীর পরদাদা এবং তিনি তার দুই ভাই কালা রাজা ও নয়া রাজার সাথে সুপারি, লবণ, চালের ব্যবসা করে কলকাতার মারোয়াড়িদের বিখ্যাত বণিক হুকুম চাঁদের সাথে মিত্রতা লাভ করেন। তিন পরদাদারা লালগঞ্জ, আলিগঞ্জ ও কালিগঞ্জ বন্দর প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রচুর ফুলুস জমা করে ইদিলপুর জমিদারী স্থাপন করেন। আসাদ চৌধুরীর বংশলতিকা হচ্ছে: আসাদ চৌধুরী ইবনে মহম্মদ আরিফ চৌধুরী ইবনে এছলাম চৌধুরী ইবনে মজিদ চৌধুরী ইবনে হাসন রাজা ইবনে মহম্মদ তকি।
আসাদ চৌধুরীর মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম। আসাদ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম সাহানা বেগম।
আসাদ চৌধুরী কানাডায় টরন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ অক্টোবর ২০২৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। পরের দিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরন্টো জামে মসজিদে জানাযা শেষে অন্টারিওর ডাফিন মিডোস কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।