শুভ জন্মদিন এ কে সরকার শাওন

কলকাতার বাংলা এক্সপ্রেস পুরস্কার বিজয়ী কবি এ কে সরকার শাওন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। পিতা মোঃ আব্দুল গণি সরকার সরকারি চাকুরে এবং মা সালেহা গণি সরকার আদর্শ গৃহিণী ছিলেন।

কবি’র শিক্ষা জীবনের শুরু ঝালকাঠির উদ্বোধন উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৮৩ সালে নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৫ সালে নবীনগর কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক হন। ১৯৯০ সালে বিমান বাহিনীর এটিআই থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ সহযোগী প্রকৌশলীর সনদ অর্জন করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ১০ বছর তিনি সেই এটিআই এর প্রশিক্ষক ছিলেন। ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাসাম্পশন থেকে তথ্য প্রযুক্তিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত “খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের উপর একাধিক সনদ রয়েছে কবি’র। এছাড়াও তিনি আইন শাস্ত্রেও সম্মান স্নাতক। সরকারি ছাড়া তিনি প্রান সহ দেশের কয়েকটি স্বনামধন্য শিল্পগ্রুপের উপ মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসাবে কাজ করেন।

কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম উপন্যাস “অতল জলে জলাঞ্জলি” প্রকাশিত।

২০২৫ এর বই মেলা উপলক্ষে বাজারে এসেছে কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম উপন্যাস “অতল জলে জলাঞ্জলি”।

২৪০ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ছিন্নপত্র প্রকাশনী এবং প্রচ্ছদ একেছেন কিট বিশ্ববিদ্যালয়ের এরোস্পেস ইন্জিনিয়ারিং এর মেধাবী ছাত্রী কামরুন সালেহীন তৃণা। উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন কবির তিন রাজকন্যাকে। উপন্যাসটি ২০২৫ এর বইমেলার লিটল ম্যাগ চত্বরে, ছিন্নপত্র প্রকাশনীর স্টল নং ৫৯৩ ও রকমারিতে পাওয়া যাবে। গ্রন্থটির মূল্য রাখা হয়েছে ৭৫০ টাকা।

একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাব্যধর্মী সামাজিক উপন্যাস “অতল জলে জলাঞ্জলি” কবির ৪র্থ প্রকাশিত গ্রন্থ।

গ্রন্থটি সম্পর্কে এ কে সরকার শাওন বলেন, ”এ সমাজ, সংসার ও চারপাশের আটপৌরে সুখ, দুঃখ, কান্না, হাসি ইত্যাদি ঘটনাকে উপজীব্য করেই অতল “জলে জলাঞ্জলি” র উপন্যাসের চরিত্রাবলী রূপায়ন করা হয়েছে। আশাকরি সবার হৃদয়ে আঁচড় কাটবে“।

উপন্যাসের সারসংক্ষেপ হলো সমতটের মেধাবী কাব্যিক ছেলে জগলু। বরেন্দ্রভূমিতে গিয়ে পড়াশুনা ও লেখালেখির মাঝে পরিচয় হয় উঞ্চ পলির রাজকন্যা জুহি’র সাথে। পরিচয় ও প্রণয় ছাড়িয়ে পরিণয়ের পথে এগোতেই হোঁচট খায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে। মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে অর্ধ-চেতনে চিকিৎসার্থে কেটে যায় প্রায় অর্ধযুগ। নব জীবনে আলো হয়ে উদ্ভাসিত হয় আর এক বিদেশী রাজকন্যা শায়লা। ত্রিভুজ প্রেমের আবেগী কাহিনীর সমাপ্ত হয় কারো হাসি কারো কান্নায়। জীবনে কাউকে না কাউকে দিতে হয় অতল জলে জলাঞ্জলিতে বিসর্জন। উপন্যাসটিতে বিদেশী ভাষার অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে বর্জন করা হয়েছে।

অতল জলে জলাঞ্জলি কবি’র প্রথম উপন্যাস। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে কথা-কাব্য, নীরব কথাপোকথন ও আপন-ছায়া। প্রকাশের প্রতীক্ষায় গ্রন্থগুলো হচ্ছে প্রণয়-প্রলাপ, আলো-ছায়া, চেয়ার ও চোর, বাঁশিওয়ালা, সজনী, প্রান্তিক-প্রান্তরে, জলের নাচন, জলের ছল, শিশুদের জন্য বাঁকা চা়ঁদের হাসি, ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ Songs of Insane এবং দু’টো গল্পগ্রন্থ মেকআপ বক্স ও নিশুতি রাতের প্রলাপ।

কবি ও কবি’র শিক্ষাবিদ স্ত্রী নাজমা আশেকিন শাওনের তিন রাজকন্যাগণ বিশ্বের প্রথম সারির বনেদী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ মেধা বৃত্তি নিয়ে অধ্যয়ন করছেন। সরকারি ও বেসরকারি চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে স্থায়ীভাবে বাস করছেন রাজধানীর উত্তরখানের কবিকুঞ্জ শাওনাজ ভিলায়।