প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মঙ্গলবার(০৪ ফেব্রুয়ারি০ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত করেন চট্টগ্রামের মেয়র।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রায় এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।”
সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সিটি মেয়র চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২১টি খাল নিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা, জনসচেতনা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের অর্থ ছাড় এবং বন্দর থেকে এক শতাংশ মাসুল এবং পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলায় বিষয়ে আলোচনা করেন।
“বৈঠকে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মেয়রের পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।”
সভায় সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী, খাল ও নালাগুলোকে সচল রাখতে হবে এবং দখল ও দূষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন।
“নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) বর্তমানে ৩৬টি খালে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তবে এ প্রকল্পের আওতার বাইরে আরও ২১টি খাল রয়েছে, যা জলাবদ্ধতা সমস্যার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব খালেরও উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ প্রয়োজন।”
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ শতাংশ মাসুল আদায়ের বিষয়ে মেয়র শাহাদাত বলেন, “চট্টগ্রাম দেশের প্রধান বন্দরনগরী হওয়ায় এখানকার রাস্তাঘাট, অবকাঠামো ও পরিষেবার ওপর অতিরিক্ত চাপ থাকে। তাই বন্দরের রাজস্ব থেকে নগর উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ও সড়ক উন্নয়ন আরও সহজ হবে।”
চট্টগ্রামে ওয়েস্ট প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প নেওয়া হলে নগরবাসীর সুবিধা হবে মন্তব্য করে এ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ ও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলেও বৈঠকে জানান সিটি মেয়র।
তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি বাড়বে অর্থ ছাড় দ্রুত হলে।”
যাতে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থ অনুমোদন হয় এবং নগর উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয় সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।