মিরসরাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিরসরাইসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১ টি দেশীয় অস্ত্র এবং একটি কালো হাইস গাড়ি জব্দ করা হয়।
মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মিরসরাই শহিদের গ্যারেজের সামনে থেকে রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, মিরসরাই উপজেলা খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম খৈয়াছড়া গ্রামের আব্দুর রউফ সরদার ভূইয়া বাড়ির শামসুল আলমের পুত্র একরামুল হক (২৭), মঈন উদ্দিন মুন্সী বাড়ির মো. মুনসুরের পুত্র মো. ইসমাইল হোসেন তুহিন (২৩), বজলে সোবহানের বাড়ির রবিউল হোসেনের পুত্র মো. ওমর ফারুক (২৪), নজির আহম্মদ মৌলভী বাড়ির বদিউল আলমের পুত্র কলিম উদ্দিন প্রকাশ কালো ধন (৪২), পানু ভূইয়া বাড়ির রহিম উল্লাহর পুত্র মো. জামিল হোসেন প্রকাশ জেবল (৩৬), আব্দুল কাদের ভূইয়াঁ বাড়ির আমিনুর রহমানের পুত্র মো. ইকবাল হোসেন প্রকাশ আক্তার (৩৫), পশ্চিম পোলমোগড়া এলাকার দুলা মিয়া হাজী বাড়ির নুরুল মোস্তফার পুত্র আরিফুল ইসলাম প্রকাশ রিমন (২৭), পূর্ব খৈয়াছড়া এলাকার মাহমুদুল হকের বাড়ির আবুল কালামের পুত্র মো. সাদিক হোসেন ড্রাইভার (২২), নুরুল আমজাদের বাড়ি নুরুল আফসারের পুত্র খাইরুল ইসলাম (২৯), মিরসরাই পৌরসভার মধ্যম মঘাদিয়ার বটতল এলাকার সাব মিয়ার বাড়ির ওমর ফারুকের পুত্র মো. এমরান হোসেন (২৭), হাইতকান্দি ইউনিয়নের তুলাবাড়িয়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের বাড়ির আবুল কালাম আজাদের পুত্র জাঙ্গীর আলম আজাদ (৪৫)। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ডাকাতির সরঞ্জাম, লোহার রড়, একটি কাটার, ৩টি ছোরাসহ ১১টি দেশীয় অস্ত্র এবং একটি কালো হাইস গাড়ি চট্ট মেট্রো-চ-১১-৬৯০২ জব্দ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশে সমবেত হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ডাকাতদের বিরুদ্ধে মিরসরাইসহ চট্টগ্রামের খুলশী, পতেঙ্গা ও পাহাড়তলী থানায় চুরি, ডাকাতি দস্যুতার ২৩টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনসহ গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা নং-০২ দায়ের শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।