সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌপথে ফেরি চাঁদাবাজি বন্ধ এবং নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী যাত্রী আন্দোলন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াত।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিরা ফেরিঘাটের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কোনো ষড়যন্ত্র বা চাঁদাবাজি কিংবা অনিয়মের অভিযোগে যাতে ফেরিঘাটের নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সর্তক থাকার আহ্বান জানান জামায়াত নেতারা।
কর্মসূচিতে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও হয়রানির জন্য দায়ী সিন্ডিকেটকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, সন্দ্বীপের মানুষ বহু বছর ধরে ঘাট ইজারাদার, বিগত সরকারের এমপি, বিআইডব্লিউটিসি ও জেলা পরিষদের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কাছে জিম্মি। সেই সময় এখন নেই। আমাদের দাবি, সন্দ্বীপের মানুষের নদী পারাপারের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এখানে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না।
বৈষম্যবিরোধী যাত্রী আন্দোলনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, কালের বিবর্তনে অনেক কিছুর পরিবর্তন আসছে। কিন্তু স›দ্বীপের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আসেনি। এখন যখন পরিবর্তনের সময় এসেছে; তখন একপক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে ভেস্তে দেওয়ার জন্য। কেউ যদি স›দ্বীপের মানুষকে শোষণ করতে চায় আমরা রুখে দিবো।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরী, কর্মপরিষদ সদস্য, মাস্টার নুরু ছালাম, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সঙ্গে কুমিরা হয়ে স›দ্বীপের মধ্যকার সরাসরি ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গত ১৯ ডিসেম্বর ফেরি যাতায়াতের জন্য অবকাঠামো নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। এতে কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী চাঁদা দাবি করছে। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নির্মাণকাজ।