সাতকানিয়া উপজেলার আওতাধীন এওছিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক আবু তাহেরের সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
প্রধান বক্তা জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী রানা, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সালাউদ্দীন সুমন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ সেলিমুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক হাফেজ আহমেদ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক মনজুর আহমেদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াস, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিজান, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ হামিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমির সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক জাকারিয়া সহ নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশের জনগণ গত ১৭ বছর ধরে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়াই সংগ্রাম করেছে।
দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষকে স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বহু মানুষকে গুম খুন ও হত্যার স্বীকার হতে হয়েছে, অনেক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। গত জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বহু প্রাণের বিনিময়ে এদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা এদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের জনগণ প্রত্যাশা করে তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। আর প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠিত হবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সংস্কারের কথা নিবাচন অনেকেই বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে। আমরাও সংস্কারের পক্ষে, তবে সংস্কারটি করতে হবে একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনে। সরকারের অনেকেই দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে সংস্কারের কথা বলে জনগণের প্রত্যাশা উপেক্ষা করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ভালোভাবে নেবে না। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্র হয়েছে বিএনপি তত শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের কোনো নেতা পালিয়ে যাননি। জেল জুলুম সহ্য করে রাজপথে থেকেছেন।