গণঅধিকার পরিষদনেতার উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল

গণ-অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুখ হাসানের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারী সন্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর।

মহানগর গণঅধিকারের সাধারন সম্পাদক ইউসুফের নেতৃত্বে নগরীর ইপিজেড, বে-শপিং এর মাঠে সমাবেশটি শুরু হয় এবং মিছিল করে নগরীর মাইলের মাথায় এসে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে মহানগর গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের উপর হামলার মামলায় গ্রেফতার আসামিরা মাত্র ৮-৯ ঘন্টার মাথায় জামিন পেয়ে যায় যেখানে ৩৭৯, ৩২৬, ৩০৭ ধারার মামলা জামিন অযোগ্য। তার মানে কি বিচারবিভাগের উপর প্রভাব খাটিয়েছে জামিন নিয়েছে? এটা এখন প্রমাণিত হলো হামলায় রাঘববোয়ালদের সংশ্লিষ্টতা ও ইন্ধন ছিলো।

বিচারবিভাগ স্বাধীন হবে, এটাই তো জুলাই বিপ্লবের একটি চাওয়া ছিল। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে বিচার বিভাগে যে স্বাধীনতা হাড়িয়েছে এটাই তার উদাহরণ। এদিকে সারজিস আলম সন্ত্রাসীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের নোটিস পাঠায়, আর জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর স্নিগ্ধ তাদের ক্ষমার সুপারিশ করেন। অপরাধীরা যদি এভাবে প্রশ্রয় পায়, তাহলে ন্যায়বিচারের আশা কোথায়? এতেই স্পষ্ট বুঝা যায় এদের পিছনে কারা। অবাক করার বিষয় হচ্ছে সেই দিনের সেই অনুষ্ঠানে নুর ও রাশেদ দু’জনকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল! তাহলে আমরা কি ধরে নিতে পারি, একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতৃত্বকে শেষ করে দিয়ে এই দলটাকে ধ্বংস করে দিতে?
এই দেশে হাসনাত-সারজিসদের গাড়ির সামান্য দুর্ঘটনায় চালককে জেলে পাঠানো হয়, রিমান্ড দেওয়া হয়। অথচ প্রকাশ্যে একটি দলের সিনিয়র একজন নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার আসামিরা ২৪ ঘণ্টাও আটক থাকে না। রাষ্ট্রের সংস্কারের নামে ক্ষমতার আসন শক্ত করা ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। ন্যায়বিচার আর সুশাসন যেন কেবলই সপ্নই রই যায়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বন্দর থানার আহবায়ক মাসুদ করিম, সদস্য সচিব মোঃমামুন, মোঃ জাহিদ, আবুল কালাম, মোঃ সোহেল, মোঃ মিজান সহস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।