বাড়ির বয়স্কদের সুরক্ষায় …

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারি চলছে। এ সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বয়স্করা।মহামারির এই সময়টা বাড়ির বয়স্কদের জন্য বেশ জতিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে যদি বয়স্ক এবং শিশু কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সাধারণত এই বয়সের মানুষের ওপরেই করোনার প্রভাব ভয়ংকর হচ্ছে। বিশেষ করে যারা বয়স্ক তাঁদের মধ্যেই করোনায় মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী।

সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমতে শুরু করে। পাশাপাশি আরও নানা দীর্ঘমেয়াদী রোগ শরীরে বাসা করে। আর তাতেই জাঁকিয়ে বসছে করোনা। তাই এক্ষত্রে শরীর সুস্থ এবং সর্বোপরি নীরোগ রাখা খুবই দরকার। আর তার জন্য সবার আগে যেটা করনীয় সেটা হল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা।

বয়স বাড়ার প্রভাব পড়ে শারীরিক কার্যাবলীর উপরে এবং তা অন্যদিকে খাবারের অভ্যাস ও খিদের ওপরেও প্রভাব ফেলে। একটু দেখে নেয়া যাক বয়সের সাথে সাথে কিরকম শারীরিক পরিবর্তন আসে।

১) আপনার মেটাবলিসম বা হজমের ক্ষমতা কমে যায়। যারা ব্যায়াম করেন না বা কম পরিশ্রম করেন তাদের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি করে প্রযোজ্য কারণ শরীরের তখন ক্যালোরি ক্ষয় করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই পরিমানমত খেয়ে শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখা জরুরি।

২) আপনি যতই কর্মক্ষম হননা কেন আপনার শরীরের অনাক্রম্যতা কমে আসে তার ফলে নানারকম শারীরিক সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস, ছানি, পেশির ক্ষয়, হৃদরোগ, অস্টিওপরোসিস, ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার্স ইত্যাদি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এগুলি সাময়িকভাবে রোধ করা গেলেও সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করতে আমরা পারি না।

৩) বয়স হলে অনেকেরই দাঁতের সমস্যা হয় এবং তাদের হালকা ও নরম খাবার খাওয়া উচিত।

৪) অনেক সময় বয়সকালে লোকেরা অবসাদে ভোগেন তাই খাওয়া কমিয়ে দেন আবার অনেকে বেশি খান। দুটোর কোনোটাই ভালো নয়।

৫) অনেকের নানারকম ওষুধ নেয়ার ফলে তাদের খিদে কমে যায় এবং তারা কম খাবার খান। তাই সেইসব বয়স্ক মানুষদের খাবারের প্রতি নিয়মিত নজর রাখা উচিত।

তাই ডায়টেশিয়ানরা এই সময়ে বেশ কিছু খাবার নিয়ম করে ক্ষেতে বলছেন। এতে যেমন শরীর ভালো থাকবে, তেমনই অনান্য ঘাতক রোগকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে। যেমন-

* শরীরে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২ পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।

* নুনের বদলে স্বাদের জন্য মশলা এবং হার্বস ব্যবহার করুন।

* টাটকা ফল ও সবজি খান।

* দিনে অন্তত তিন কাপ ফ্যাট- ফ্রি বা কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খাওয়া উচিত। চিনি যুক্ত পানীয়ের থেকে শুধু জল খান।

* ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার যেমন টক দই, সোয়া-মিল্ক সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খান তাতে ক্লান্তি, অ্যানিমিয়া ও ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।