রক্ত দান সর্বোত্তম দান, যেই দানে বাঁচে প্রাণ

বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে রক্তদাতা সৃষ্টির প্রত্যয়ে (৩ জানুয়ারি) শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম একাডেমী হলে সেনানী ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশন এর ৪র্থ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেনানীর সভাপতি রবিউল ইসলাম ফারুকীর সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক ছিলেন, এ.কে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আমান উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন, ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেড এর মহা ব্যবস্থাপনা মুহাম্মদ আবদুর রহিম।

মোটিভেশনাল স্পিকার ছিলেন, হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম। শপথ বাক্য পাঠ করান সেনানীর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন, ছাত্রনেতা ফাহাদ বিন আজাদ সিদ্দিকী। সেক্রেটারি সাহেদুল ইসলাম মুন্নার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিরাতুল মুস্তাকীম কাতার কেন্দ্রীয় পরিষদের সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন আবুধাবি মোছাফফা শাখার সদস্য মুহাম্মদ জাবের আহমদ, স্টুডেন্ট’স ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় প্রধান পরিচালক মাইনুল ইসলাম। সেনানী ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম শিপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, অর্থ সম্পাদক আরাফাদুল আলম, দপ্তর সম্পাদক মিনহাজ উদ্দীন, ব্লাড ম্যানাজমেন্ট প্রধান আবদুল্লাহ আল মিনহাজ মাহিন, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আভহার উর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি আবদুর রহিম বলেন, রক্তদান সর্বোত্তম দান, যেই দানে বাঁচে প্রাণ। মানুষের প্রাণ বাঁচানোর মতো মহৎ কাজ আর কিছুই হতে পারে না। আমাদেরকে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এক্ষেত্রে তরুণ ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি ঘরে রক্তদাতা সৃজন করার সেনানীর লক্ষ্য পূরণ হলে দেশে আর কেউ রক্তের অভাবে মৃত্যুবরণ করবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে সবাই মানবিক কাজে প্রতিযোগিতা করবে। বক্তারা বলেন, অনেকেই ভাবেন, রক্ত দিলে অসুস্থ হয়ে যাবেন বা দুর্বল হয়ে পড়বেন। বাস্তব সত্য এর উল্টো। রক্তদান- হৃদরোগ, ক্যান্সার বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোসহ ১৭টিরও বেশি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তদানের সাথে সাথে দেহের বোন ম্যারো নতুন কণিকা তৈরির জন্যে উদ্দীপ্ত হয়। ফলে সুস্থতা, প্রাণবন্ততা আর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রক্ত দিয়ে একজন দাতা তার সার্বিক সুস্থতাকে যাচাই করে নিতে পারেন। ফলে প্রতি চার মাসে এক বার করে বছরে তিন বার হয়ে যাচ্ছে তার ব্লাড প্রেশার, পালস লেভেল থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইডস এবং ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং টেস্ট। নিজের সুস্থতা সম্পর্কে বছরে এতবার আশ্বস্ত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। তাই আসুন, সবাই রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করি।