সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য: আবু সুফিয়ান

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, প্রতিটি ধর্ম মানুষকে শৃঙ্খলা, সহিষ্ণুতা ও মানবিকতা শিক্ষা দেয়। আর ইসলাম হলো মানবতার ধর্ম, শান্তি, সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম। জাতি-ধর্ম বংশ-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি ন্যায় বিচার, সহমর্মিতা, সৌজন্যমূলক আচরণ, জীবের প্রতি দয়া এই ধর্মের অন্যতম শিক্ষা। তাই আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। কারণ ধর্ম শিক্ষার মাধ্যেমে মানবিক গুনাবলী জাগ্রত হয়। ধর্ম শিক্ষা দিয়েই মানুষের নৈতিকতার উন্নয়ন হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য সমাজে প্রতিনিয়ত পাপাচার, অন্যায়, দুর্নীতিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। মানুষে মানুষে পারস্পরিক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, মানবতা এবং মানবিকতার জায়গাগুলো দখল করে নিচ্ছে চরম স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতায়। তাই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইনের সঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।

২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডস্থ বাদশা চেয়ারম্যান ঘাটা ইমাম আবু হানিফা (রা:) ইসলামিক একাডেমি এবং তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক সীরাত (সা:) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরোও বলেন, আমাদের দেশের মানুষ ধর্মপরায়ন তবে ধর্মান্ধ নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের ঐতিহ্য। হাজার বছর ধরে এই ভূখন্ডে জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি ধর্মপরায়ণ বলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সর্বদাই সহনশীল। এখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ স্ব-স্ব ধর্ম পালন করে এবং একে অপরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু পতিত আওয়ামীলীগ সবসময় ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক পায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করতো। তাদের শাসনামলে এদেশে যেমন আলেম-উলামাগণ নির্যাতিত হয়েছেন তদ্রæপ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও নির্যাতিত হয়েছেন। এখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়ঁতারা করছে। তাই দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর সকল অপ:তৎপরতা ও চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সমাজ সেবক মো. বকতেয়ার, হাজী ইসহাক চৌধুরী, নুরুল আলম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, ওয়ালি উল্লাহ, সাইদুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদ আহমদ, মো. হোসেন, আলতাফ হোসেন, সাজিদ হাসান রনি, কাউছার আলম কায়ছার, আব্দুল আজিজ, পেয়ার মো., ফজল আমিন, জয়নাল আবেদীন, সালাউদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, জহুর আলম, মো. রহিম, মো. জয়নাল, মো. মহসিন, আব্দুল মান্নান, মো. কায়ছার, রেজওয়ান, নবী, হৃদয়, রবিউল প্রমুখ।