মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই(রাঙামাটি)।
চব্বিশ ঘন্টায়ও সন্ধান মেলেনি কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যাওয়া দুই পর্যটকের। নিখোঁজ কিশোরদের লাশ পাওয়ার অপেক্ষায় স্বজনসহ কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা নদী তীরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটায় সীতারঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ছুটে আসা নিখোঁজ প্রিয়ন্ত দে’র জেঠা তাপস দে ভাইপোর মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন। এসময় তিনি বলেন, ভাটিয়ারি যাওয়ার কথা বলে তারা ঘর থেকে বের হয়। কাপ্তাই আসবে সেটা আমাদের জানায়নি। তারা বন্ধুরা চট্টগ্রাম পাথরঘাটায় একসাথে হয়ে কাপ্তাই চলে আসে। আমরা তাদের নিখোঁজের বিষয়টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে অবগত হই। এরপর খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করি এবং ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমরা জানি তারা বেঁচে নেই। প্রশাসনের কাছে আমরা শুধু নিখোঁজ সন্তানদের মরদেহের সন্ধান চাই। কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে এখনো পর্যন্ত আমরা মরদেহের সন্ধান করে যাচ্ছে। তাদের না পাওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ডুবুরিরা গতকাল ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সন্ধান চালায়। কিন্তু নিখোঁজদের কোন সন্ধান করতে পারেনি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ডুবুরিরা তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে। আজ বুধবার মরদেহ ভেসে উঠার সম্ভাবনা থাকায় তারা আর পানিতে নামেনি বলে তিনি জানায়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে আসা ৯ জনের একটি কিশোর দল বোটে করে নদীপথে কাপ্তাই ঘুরতে আসে। এক পর্যায়ে কর্ণফুলী নদীর সীতার ঘাট এলাকায় গোসল করতে নেমে ৩ বন্ধুর মধ্যে ১ জন কিনারে উঠতে পারলেও প্রিয়ন্ত ও শাওন নামের দুই বন্ধু নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখনো তাদের কোন সন্ধান মেলেনি। গত মঙ্গলবার থেকে কিশোরদের আত্মীয়-স্বজনরা সীতারঘাটে অপেক্ষা করছে মরদেহের জন্য।