শফিউল আলম, রাউজানঃ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট, বইজ্যার হাট, হলদিয়া বড়য়া পাড়া, গর্জনিয়া,উত্তর সর্তা, ডাবুয়া ইউনিয়নের লঠিছড়ি, পশ্চিম ডাবুয়া, গণিপাড়া, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা, হক বাজার, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর, নতুন হাট, গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর, রাউজান পৌরসভার পশ্চিম গহিরা হয়ে পাহাড়ী এলাকা থেকে খরশ্রোত সর্তা খাল হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। খরশ্রোতা সর্তার খালের হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট, বইজ্যার হাট, হচ্ছার ঘাট,উত্তর সর্তা, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, গণিপাড়া, চিকদাইর ইউনিয়নের হক বাজার, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর এলাকায় পাওয়ার পম্প বসিয়ে সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এলাকার বালুখোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা । সর্তার খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে খালের ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সর্তা খালের ভাঙ্গনে ফসলী জমি, এলাকার মানুষের বসতবাড়ী খালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।সর্তার খালের ভাঙ্গনে হচ্ছার ঘাট, এলাকার বিপুল পরিমাণ ফসলী জমি ভাঙ্গনে খালে বিলিন হয়ে গেছে। খালের ভাঙ্গনে হলদিয়া বড়ুয়া পাড়া পুরাতন বইজ্যার হাট, উত্তর সর্তা, পশ্চিম ডাবুয়া সেন বাড়ী, দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ী, গণিপাড়া, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর মিলন মাস্ট্রারের বাড়ী, নতুন হাট, চিকদাইর হক বাজার, বারই পাড়া, দক্ষিন সর্তা, গহিরা দলই নগর এলাকার কয়েকশত পরিবারের বসতঘর খালে বিলিন হয়ে গেছে । বিপুল পরিমান ফসলী জমি ও খালে বিলিন হয়ে গেছে । বালু উত্তোলনের কারনে হলদিয়া হজরত আলী হোসেন শাহ সেতু, হলদিয়া আমিরহাট এলাকায় সেতু, গণির ঘাট সেতু, হজরত নুরুল হক শাহ সেতু, হজরত আকবর শাহ সেতু, ইছাপুর সেতু, সেতুগুলোর নিচের গোড়ালীর মাটি সরে গিয়ে সেতুগুলি ঝুৃকিঁপুর্ণ হয়ে পড়েছে । সর্তার খালের ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তালন অব্যাহত থাকলে আরো কয়েক শতাধিক পরিবারের বসতঘর, ফসলী জমি খালে বিলিন হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে । বর্ষার মৌসুমে খরশ্রোতে সর্তা খাল দিয়ে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবাহিত হলে খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে বসতবাড়ী, ফসলী খালে বিলিন হওয়ার অশংকায় রয়েছে এলাকার বাসিন্দ্বারা । সর্তা খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় ফসলী জমি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে কয়েক’শত কৃষক। সর্তার খালের ভাঙ্গনে রাউজান অংশ বিলিন হয়ে জেগে উঠা চর ভাঙ্গে ফটিকছড়ি সীমনার সাথে মিলিত হয়েছে হচ্ছার ঘাট এলাকায়।এসব চর দখলে নিয়ে ফটিকছড়ি এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। একই সঙ্গে রাউজান অংশেও একটি সিণ্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, এই খাল থেকে বালু উঠানোর জন্য সরকারি ভাবে কোন মহলকে ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে, খাল পাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালের ভিতর পাম্প মেশিন বসিয়ে বালু উঠিয়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। ফলে খালের ভাঙ্গনে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি আর বাড়ী ঘর।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাউজান-ফটিকছড়ি অংশে কোন প্রকার ইজারা ছাড়া সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত সর্তা খালের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়ে এলাকার মানুষের বসতঘর, ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তবুও বালু খেকোরা বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি। বালু উত্তোলণের ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।হচ্ছার ঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দ্বা সোয়াইব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, রাউজানে অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণের কারণে আমাদের ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম সর্তা খাল থেকে বালু উত্তোলন করা বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়, এবং বালু উত্তোলণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, রাউজানে কোনো বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়নি।যদি কেউ ইজারা বিহীন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।