রাউজানে অক্টোবর ও নভেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনক ছিল

গত ছয় মাসে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি ৮৫, বেসরকারী পাসাপাতালে ভর্তির সংখ্যা দ্বিগুণ
শফিউল আলম, সংবাদদাতা রাউজান (চট্টগ্রাম): রাউজানে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রন্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ছিল। তবে ডিসেম্বের মাসে এসে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে। অপরদিকে উপজেলার সরকারী হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও, বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন বলে জানা গেছে। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৮জন রোগী। তৎমধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল।

৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ। বাকি রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। নভেম্বর মাসে ভর্তি হয়েছে ৩১জন রোগী। তৎমধ্যে ১৪ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল। ১০জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন হাসপাতাল কর্র্তপক্ষ। বাকি রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। চলতি ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ পষর্ন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির সংখ্যা এসে দাঁড়িছে ৪ জনে। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১জন রোগী। এছাড়া চলতি বছরের জুলাই মাসে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ২জন। তৎমধ্যে একজনকে রেফার করা হয় চমেক হাসপাতালে।

আগষ্ট মাসে ভর্তি হয় একজন রোগী। সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তি হয় ৯জন রোগী। তৎমধ্যে ৩জনকে রেফার করা হয় চমেক হাসপাতালে। গত ছয় মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা ৮৫জন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তিতে থাকা রোগীর নাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দির্কী। তিনি দারুল ইসলাম সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের শিক্ষক। নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে রাউজানের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া সাজু পালিত নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার মতো রাউজানের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা বেশিভাগ বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনো অর্ধশতাধিক ডেঙ্গু রোগী নগরীর বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমাদের হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড রয়েছে। আক্রান্তদের নিবিড় পরিচর্যায় রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সাধারণত মানবদেহে ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট ১.৫ মিলিয়ন থেকে ৪ লক্ষ পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার অবধি কমতে থাকে। ডেঙ্গু জ¦র হলে আমরা পরিপূর্ণ বিশ্রামে থেকে প্রচুর তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিশেষ করে ডাবের পানি, লেবুর জল, ফলের জুস ও খাওয়ার স্যালাইন পান করতে হয়। প্লাটিলেট অনুপাতে ঔষধ দিয়ে থাকি রোগীদের। তিনি বলেন, রাউজানে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু প্রকোপ উদ্বেগজনক পর্যায়ে ছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু প্রকোপ সহনশীল পর্যায়ে চলে এসেছে।