শফিউল আলম, রাউজানঃ দেশজুড়ে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে ও কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর ও সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম। রাউজানের অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানে জমে ওঠেছে শীতের কাপড় বিকিকিনি। শীতের মৌসুমের শুরুতে যেসব ব্যবসায়ী ক্রেতা সংকটে ভুগছেন। শীতের তীব্রতা রাড়ার সাথে, সাথে তারাই এখন জমজমাট ব্যবসা করছেন। এর মধ্যে আগের চেয়ে তাদের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, শীতের তীব্রতার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতারা পোশাকের দামও বাড়িয়েছে দিয়েছেন।
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর রাউজানের বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতের দোকান সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাউজানে শীতের পোশাক কিনতে ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যরা ভিড় করছে মার্কেট গুলোতে।রাউজান ফকির হাট বাজারের ডিও শপিং মার্কেট, তাহের প্লাজা, সিটি সেন্টার, চৌধুরী মার্কেট, মামনি শপিং মাকেট, মায়াপরী, প্রগতি ফ্যাশন, আলো শাড়িজ, মায়া শাড়ীজ, জলিল নগর বাস ষ্টেশনের হাজী আবছার মার্কেট, গহিরা চৌমুহনীর নাসির টাওয়ার,রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটের ভারতশ্বরী প্লাজা, আমির মাকের্ট, খায়েজ মার্কেট, সতিশ মার্কেট, রাউজানের পাহাড়তলী চৌমুহনী রহামান প্লাজা ইব্রাহিম টাওয়ার, এনডি টাওয়ার মাকেট, হলদিয়া আমির হাট, নোয়াজিশপুর নতুন হাট বাজারে দোকানে শীত নিবারনের জন্য কম্বল, সুয়েটার, জ্যাকেট ক্রয় করছে। নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ শীতের কাপড় ও কম্বল কিনতে ভিড় জমাচ্ছে রাউজানের হাট বাজার ও বিভিন্ন স্পটে স্তুপ করে রাখা শীতের কাপড়ের ভাসমান দোকান থেকে।
রাউজানের হাট বাজার ষ্টেশনের ফুটপাতে ভাসমান হকারদের কাছেই শীতের কাপড় কিনতে বেশি ভিড় করছে ক্রেতারা। সপ্তাহ দুয়েক আগেও এসব হকারদের দৈনিক বিক্রি ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে। অনেকে দৈনিক ৫ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করছেন। এছাড়া ফুটপাতের বিভিন্ন কমফোর্ট কম্বল বিক্রেতাদেরও বিক্রি বেড়েছে গত দু’সপ্তাহে। আগে তারা দৈনিক ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করলেও শীতের তীব্রতা বাড়ার পর সেই বিক্রি দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়। রাউজানের ফকির হাট বাজারের ভাসমান শীতের কাপড় বিক্রয় কারী আজিম বলেন, শীতের প্রকৌপ বাড়ার সাথে কাপড় বিক্রয় বেড়েছে ।
রাউজান ফকির হাট বাজারের ভাসমান শীতের কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় ক্রয় করতে আসা দিনমজুর রফিক বলেন,আমরা দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষ, শীতের বস্ত্র কি জানি না। শেষ রাতে প্রচুর শীত লাগে। আমরা বউ-জামাই কোনোমতে থাকতে পারলেও ছেলেমেয়েরা ঘুমাতে পারছে না। এখানে কম দামে কিছু গরম কাপড় কিনলাম। ছেলেমেয়েরা এগুলো পেয়ে খুশি হয়ে যাবে।