তামিম ইকবালের ব্যাটে কাল বৈশাখী ঝড় উঠলে তৌফিক খান তুষার তুললেন আরও ভয়ঙ্কর টর্নেডো। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন না কেউই। ফলে তুষার যতক্ষণ ক্রিজে ছিল সিলেট ম্যাচে ছিল ঠিক ততক্ষণই। তার বিদায়ের পর চট্টগ্রামকে জয় পেতে আর খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তামিম ইকবালরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এনসিএলের দ্বিতীয় দিনে সিলেটে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম। একাডেমি মাঠে স্বাগতিক সিলেটকে ১২ রানে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে চট্টগ্রাম।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করে তামিমের ঝড়ো অর্ধশতকে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ওপেনার তৌফিক খান তুষারের বিস্ফোরক অর্ধশতক সত্বেও ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট।
চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সিলেট হারায় জিশান আলমের উইকেট। গতকাল ৫৩ বলে শতক হাঁকানো এই ওপেনার আজ হাসান মুরাদের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন। চার দিনের ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া অমিত হাসানও পারেননি রানের খাতা খুলতে। তিনিই মুরাদের শিকার। মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারায় সিলেট।
দলীয় ১৪ রানের মাথায় আসাদুল্লাহ গালিবও গোল্ডেন ডাক মারেন ফরহাদ হোসেনের বলে। তবে আরেক ওপেনার তুষার ততক্ষণে ঝড় তুলেছেন। ওয়াসিফ আকবরের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন মাত্র ৪২ বলে।
১৭ বলে ১৩ রান করে ওয়াসিফ নাঈমের শিকারে পরিণত হলে এই জুটি ভাঙে। অধিনায়ক মাহফুজ রাব্বিও পরের ওভারে হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে যান। তবে তুষারের ব্যাটে তখনও ম্যাচে টিকে ছিল সিলেট।
৩৩ বছর বয়সী তুষার এদিন মাত্র ৩৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। ২১১.১১ স্ট্রাইক রেটে খেলা ইনিংসটিতে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল। একাদশ ওভারের তৃতীয় বলে তুষারকে বিদায় করেন নাঈম। সেই সঙ্গে সিলেটের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষদিকে তোফায়েল ১১ বলে ১৪ রান অরে হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন শুধু।
হাসান মুরাদ ৩ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। নাঈমও ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। আহমেদ শরিফ ২টি, ইরফান এবং ফরহাদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।