‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র মুসলিম জাহানের নেতৃত্ব দেবে’

“ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে উন্নত জাতি গঠনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বাষিকী উপলক্ষ্যে “ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে উন্নত জাতি গঠনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা শনিবার(৭ ডিসেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (ইউনেসা) এর আয়োজনে এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, তিনি বলেন, মুসলমানদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ-জাতির কাছে তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (ইউনেসা) এর সভাপতি এস.এম. মিজানুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে উন্নত জাতি গঠনে ১৯৭৯ সালে ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়ার শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ১৭৫ একর জমিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ভিত্তিপস্তর স্থাপন করা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং সারা মুসলিম জাহানের নেতৃত্ব দেবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিা প্রাচ্যের দেশসমূহের মধ্যে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রয়াস। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ইসলামী ভাবধারার পরিচয় ঘটিয়ে সকল মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করে ন্যায়-নিষ্ঠ, নীতিবান, সুনাগরিক গড়ে তুলবে এ বিশ্ববিদ্যালয়”(দৈনিক ইত্তেফাক, ২৩ নভেম্বর,১৯৭৯)।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ.আইয়ুব আহমাদুল্লাহ জীবন এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম সহ জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৫০০ প্রাক্তনী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিভিন্নভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় এবং আশা করা হয় জাতি গঠনে এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।