মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, প্রিয় চট্টগ্রাম: চোখের জলে আলিফকে চির বিদায় জানালো বীর চট্টলার মানুষ। চট্টগ্রাম আদালতে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের চার দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণেই প্রথম জানাজা, জমিউত—উল—ফালাহে দ্বিতীয় জানাজা, নিউমার্কেট মোড়ে ৩য় ও লোহাগড়ায় ৪র্থ জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জমিউত—উল—ফালাহে দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করাসহ ছাত্র আন্দোলনের হাজারও শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী জানাজার ইমামতি করেন। জানাজায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ, সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস—চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা মাওলানা শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক, এরশাদ উল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রমুখ। এ সময় জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো চট্টগ্রাম নগরী। এ সময় দূর—দূরান্ত থেকে লাখো মানুষকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের জানাজায় শরিক হতে আসতে দেখা যায়। আদালত প্রাঙ্গণেই প্রথম জানাজায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাকসহ বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবী ও সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মী, সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এসময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্য সৃষ্টি হয়। এছাড়া জানাজার আগে সমন্বয়ক আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন। তারা সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করার দাবি জানান। এ সময় হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে রঙ্গম সিনেমা হল—সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।