যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে চট্টগ্রামে বিজয় দিবস উদ্যাপিত

বিজয় দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বিজয়ের প্রথম প্রহরে রাত ১২.০১টায় কোর্ট হিলে ৩১ বার তোপধ্বনি দেয়া হয়। একই সাথে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। এসময় সরকারি প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠন, সাংস্কৃতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ সর্বস্তরের মানুষ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপন ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। এছাড়া সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি বেসরকারি ও শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দিবসের মূল কর্মসূচী পালিত হয় নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কূচকাওয়াজ সালাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে। বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কূচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, ডিআইজি মো. গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাসহ সরকারি বেসরকারি পদস্থ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা পুলিশ মেট্রো পুলিশ আনসার-ভিডিপি কারারক্ষি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ কূচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অগ্রসর জাতি গড়তে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারলে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ স্বার্থক হবে। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, আমি বিজয় দিবসে সব শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
পরে সার্কিট হাউজে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বিজয় দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সিনেমা হল সমূহে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং উন্মুক্ত স্থানে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, হাসপাতাল জেলখানা বৃদ্ধাশ্রম এতিমখানা শিশু পরিবার ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, জেলা ও উপজেলা সদরে ছাত্র ছাত্রী সমাবেশ অনুষ্ঠান, ঞ-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, নৌকা বাইচ ফুটবল কাবাডি খেলার আয়োজন, দিনব্যাপী শিশুপার্ক যাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকিটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরন, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মসজিদ মন্দির গীর্জা প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরন।