রাতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা মেয়র ডা. শাহাদাতের

রোববার (১০ নভেম্বর) রাত থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের যে সমস্ত কাজ রাতে করা সম্ভব সেগুলো রাতে পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রোববার (১০ নভেম্বর) নগরীর বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার থেকে মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর মেয়র এ ঘোষণা দেন। এদিন মেয়র ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে হেটে হেটে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, সড়ক সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র। মেয়র দুটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা নেন এবং স্থানীয়দের কাছে কাজের পারফরম্যান্স জানতে চান।

পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মরতদের আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, অভিযোগ আছে পরিচ্ছন্ন বিভাগের অনেকে কাজ না করে মাছের ব্যবসাসহ বিভিন্ন পার্টটাইম ব্যবসা করছে। আমি দেখছি কারা কারা ফাঁকি দিচ্ছে। এখানে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে দায়িত্ব¡ আপনারা সততার সাথে ঈমানদারিত্বের সাথে পালন করবেন। অন্যথা আমি আবারও বলছি অনেকের চাকরি নাও থাকতে পারে।

“এখানকার এলাকাবাসী কোন কমপ্লেন আপনাদের বিরুদ্ধে যদি দেয় যে, আপনারা মশার স্প্রে দিচ্ছেন না, ক্লিনিং করছেন না, আপনারা অনিয়মিত আছেন তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। আর যদি আপনারা ডিসিপ্লিনের সাথে ঈমানদারিত্বের সাথে সততার সাথে কাজ করেন আপনাদেরকে আমি পুরস্কৃত করবো ইনশাল্লাহ । মশক নিধন অভিযান আরও জোরদার হবে। ওষুধের গুণগতমান ল্যাব টেস্ট করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপস করবো না।”

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে নালানর্দমা অপরিষ্কার থাকা। এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভাঙা দেখেছি। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। যেসব রাস্তাঘাট জনদুর্ভোগের কারণ হচ্ছে সেগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।

নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে জনগণের সহায়তা কামনা করে মেয়র বলেন, একটি খাল দেখলাম, এটা মনে হচ্ছে একটা ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গেছে। সমস্ত ডাস্টবিনের ময়লা এখানে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমাদের নিজ দায়িত্বে¡ এই শহরকে আমার শহর মনে করে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। আমরা কোন খালকে ডাস্টবিন করতে চাই না। ঐখানে ডাস্টবিন আছে। না হলে আরো একটা ডাস্টবিন আমি করে দিব ইনশাআল্লাহ। ওই ডাস্টবিনে আপনারা ময়লা ফেলবেন। এ শহর আমার একার না, সবার। তাই আমাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামের একজন নাগরিক হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্স আপনাকে দিতে হবে।