প্রিয় অনু,
আমি বিন্দু
আজকের এই দূরে দূরে থাকাটা মনে করোনা তোমাকে এড়িয়ে যাওয়া বা ছেড়ে যাওয়া। প্রিয়দর্শন, মনে করো – তোমার কাছ থেকে আমার এই দূরে দূরে অস্থান এই ভেবে যে, দুজনাতে আগামির শেষ বিন্দুটুকু যেন আর অদূরে থাকতে না হয়। এইদিন শেষে পরবর্তী সাক্ষাত যেন হয় নিষ্কন্ঠক ভাবনাহীন অনাবিল সুখের। তুমি জানোনা কিংবা গুনাক্ষরেও জানতে দেয়নি একটা অদৃশ্য শত্রু আমার উপর হানা দিয়েছে। সে আমাকে চুরি করে পরাস্থ করবে বলে মরন কামড় দিতে চায় এবং এটাও সে পন করেছে আমার সাথে যে বা যারা ইন্টার রিলেটেড হবে তাকেও নাকি ছাড়বেনা। তোমাকে ভালবাসি বলে বোধয় ঐ শত্রুর এত হিংসা। তার লোলুভ দৃষ্টি যতবার হিংস্র হয়ে তোমাকে কেড়ে নিতে তেড়ে আসছিল তত বার আমি বাঁধ সেদে তাকে প্রতিরোধ করেছি। সে এখনো ব্যর্থ চেষ্টায় তোমাকে তার কব্জায় নিতে সদা তৎপর, বেপরোয়া। তাই আমি প্রতিরোধের যুদ্ধে চলমান আছি। বিধায় তোমার কাছ থেকে দূরে। প্রিয় সুদর্শনা তুমি এতোসব জানোনা, তাইতো আমার উপর এতো অভিমানি। আরকটা দিন নাহয় তোমার কাছে চেয়ে নিলাম। দামটা তুমি তোমার মত করে সুদাসলে নিয়ে নিও। মাঝে মাঝে আমি খুব ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে পড়ি। মনে হয় এই বুঝি হার মানলাম। আর হার মানাটা মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। পরোক্ষণে আমার চেতনায় তুমি ফিরে ফিরে আসো। আমার হার মানাটা বোধয় সাজেনা। কারণ আমি ছাড়া তুমিতো অন্য কারো নও, হতে পারোনা, হতে দেবোনা। আমার বিশ্বাস এলড়াইয়ে আমি জিতবই! তুমিইতো প্রেরণা,সাহস। আমার ভেতরের প্রাণ শক্তির একমাত্র উৎস তোমাকেই করেছি। ব্যাস্ — আমার যুদ্ধ জয়ে এতটুকুই পর্যাপ্ত।
প্রিয়দর্শন, এবার তোমাকে আমার সেই শত্রুর পরিচয়টা দিতে চাই। আসলে আমার এ শত্রু কোন দেহকায় মানুষ নয়। একটি রোগ। বড্ড ছোঁয়াছে। আজ সারা বিশ্বে মারাত্মক রুপ ধারণ করেছে। কেড়ে নিচ্ছে অনেক প্রাণ, মানুষ হারাচ্ছে তার অতি আপন জনদের। তুমি জানোনা এই রোগ আমার অজান্তেই আমাকেই সংক্রমিত করেছে। আমি চাইনি এবং চাইবোনা আমাকে সিঁড়ি করে এই রোগ তুমি অব্ধি পৌছে যাক। কারণ আমি আমার চেয়ে বোধয় তোমাকেই বেশি চাই। বুঝে নিও আজকের এই দূরে থাকাটা শুধুই তোমার কাছে আসাটাকে স্থায়ী করতে। যাতে আর কখনো হারাতে না হয়।
করোনা রোগের কাছে করুনা ভিক্ষা নয়, প্রতিরোধই হবে তার প্রতি শাস্তি এবং প্রতিশোধ।
>>>মহিউদ্দিন মহিন,
বড়দিঘীর পার, চট্টগ্রাম