লাল সবুজ আলোয় উচ্ছ্বাস

নিউজচট্টগ্রাম: প্রতি বছর বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করে মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। ৪৭তম বিজয় দিবস পূর্ণ হলো এবার। আর এর উপলক্ষে লাল সবুজ আলোয় সেজেছে চট্টগ্রামসহ পুরো দেশ। প্রকৃতিতে শীতের উপস্থিতি, দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ অন্য দিকে বিজয়ের আনন্দ যেন কোটি বাঙালির হৃদয়কে আপ্লুত করে যাচ্ছে।

সন্ধ্যায় চট্টগ্রামেরর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। জনমনে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। যেন আলোয় আলোয় মুছে দিয়েছে সমস্থ কালো। সকালে ফুলে ফুলে সাজিয়ে দেবে শহীদ বেদী আর স্মৃতি সৌধ। আর তাই তো নগরীর সব সরকারি স্থাপনা এখন ঝলমলে। এই চাকচিক্য চোখে পড়ার মতো। পথে পথে উড়ছে সারি সারি বিজয় নিশান।

বিজয়ের এ দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে চট্টগ্রামকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আলোকসজ্জায় রঙিন চট্টগ্রাম যেন পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল সবুজের পতাকায়।

শনিবার রাতে চট্টগ্রাম’র বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্থাপনা, অফিস-আদালত সেজেছে বর্ণিল সাজে। সন্ধ্যার পরই লাল সবুজের আলোতে ঝলমলিয়ে ওঠে পুরো বাণিজ্যিক রাজধানী। চোখ ধাঁধানো এ আলোকসজ্জার ঝলকানিতে মন কেড়েছে সবার।

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে লাল, নীল, হলুদ, সাদা,সোনালি, হরেক রঙের আলোর ব্যবহার করা হয়েছে। আলোকসজ্জার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধের বিভিন্ন প্রতীকী ও জাতীয় পতাকার আদলে এমন মোহনীয় সাজে সেজেছে চাটগা।

চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস, নিউমার্কেট, জামাল খানসহ বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন রঙ ও বর্ণের এসব আলোকসজ্জা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মনকাড়া এমন আলোকসজ্জায় মুগ্ধ অনেকেই।

সড়কের ডিভাইডার ও ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হচ্ছে বিজয় দিবসের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন আর পতাকা। এ সব ব্যানার ফেস্টুনে রয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের কথা ও জাতিকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

এছাড়া বিজয় দিবসের পূর্ব মুহূর্তে পথে ঘাটে চলছে পতাকা বিক্রি। উৎসুক জনতা পতাকা কিনছে। বাঙালি জাতি প্রতি বছর এ দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে। এ দিনেই পাকিস্তানিরা এ দেশের বীর সন্তানদের কাছে মাথা নত করে বিদায় নেয়। ফলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের অভ্যুদয় ঘটে বিশ্বে মানচিত্রে।