মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি): বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আওতাধীন কাপ্তাই মৎস্য উপকেন্দ্রে গত মাসে ৫৫৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২ অক্টোবর) কাপ্তাই মৎস্য আহরণ উপকেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, দীর্ঘ ৪ মাস পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ ও বিপনন শুরু হয়। সে হিসেবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একমাসে কাপ্তাই উপকেন্দ্রের মোট ৫৫৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে এক কোটি টাকা। উপকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরুর পর থেকেই জেলেদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসলেও হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় মাছ ধরতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। পানি বেশি থাকার ফলে বড় মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। অনেক জায়গায় যারা বড়শি বা জাল ফেলে মাছ ধরতো সেখানে পানির চাপে বড়শি, জাল ছিড়ে যাচ্ছে। এতে ল অনেকেই মাছ ধরতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া জেলেরা মাছ ধরে উপকেন্দ্রে নিয়ে আসতে আসতেই অনেক মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত বরফ মজুত না রাখায় এবং সচেতনতার অভাবে মাছ গুলো পচে যাচ্ছে। এবিষয়ে জেলেদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত স্থানীয় জেলে কোরবান আলী, সুনীল দাশ, মোঃ শফি উল্লাহ জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপ্তাই হ্রদে আইড় মাছের আহরণ ও আকার বেড়েছে। তবে কেচকি ও চাপিলা মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। মৎস্য আহরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় মাছ ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। হ্রদে পানি কমে আসলে আরও বেশি মাছ পাওয়া যাবে বলে তারা জানায়।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের পহেলা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে।