মহেশখালীর সমস্যা সমাধানে কক্সবাজার ডিসি’র সাথে ছাত্র-জনতার মতবিনিময়

এস. এম. রুবেল, মহেশখালী: কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে যোগদান করেছেন জনাব মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) ডিসি’র সাথে মহেশখালী ছাত্র-জনতার একটি প্রতিনিধি দলের সাথে মহেশখালীর মানুষের মাটি ও মানুষের দূর্ভোগের নানা কথা নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।

মতবিনিময় সময় আলাপ কালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেব আশ্বাস করেছেন ধাপে ধাপে মহেশখালী উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের সুবিধা অনুযায়ী সকল দাবী-দাওয়া পূরণ করা হবে।
এসময় ১০ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারণলিপিও প্রদান করেছেন মহেশখালী ছাত্র-জনতার একটি প্রতিনিধি দল।

১০ দফা দাবীতে যা যা আছে:
১. যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কক্সবাজার- মহেশখালী নৌপথে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়রাণী ও লুটপাট প্রক্রিয়া বন্ধ করা।
২. মহেশখালীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্যারাবন, পাহাড়, বনকাটা ও বালি উত্তোলন বন্ধ। নদী, পুকুর ও জলাশয় ভরাট রোধ ও পূণরায় খনন করা। বণ্যপ্রাণী আহরণ, পাচার ও হত্যা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. মহেশখালীর কৃষি ও পাহাড়ী জমিতে প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত সকল ধরণের পরিবেশ ও জন-বিধ্বংসী প্রকল্প দ্রুত বাতিল করা। শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য বেসরকার কোম্পানী কর্তৃক যে সব কৃষি জমি ক্রয় করা হয়েছে, তা সরকারের অধীনে নিয়ে শর্তসাপেক্ষে জনগণকে চাষাবাদের সুযোগ করে দেয়।
৪. সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃক ইকোট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের প্রকল্পসহ তাদের অধীনস্থ সকল প্রকল্পের চুক্তি দ্রুত বাতিল করা। কেননা সরকার এটিকে পরিবেশ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে আইন করেছেন।
৫. জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং জনপদের মাটি ও মানুষকে রক্ষায় টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ ও প্যারাবন কেটে নির্মাণকৃত ঘের উচ্ছেদপূর্বক পূণরায় প্যারাবন সৃজনের উদ্যোগ নেয়া।
৬. মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে উন্নীত করে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা। কেননা এটিই দ্বীপের প্রায় ৫লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের একমাত্র হাসপাতাল, যেখানে বেসরকারী কোন হাসপাতাল নাই। পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের সকল শূণ্য পদ পূরণ করা।
৭. মহেশখালী উপজেলার উত্তর প্রান্তে আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সেখানে একটি আলাদা থানা কিংবা ক্যাম্প স্থাপন স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ। এর পাশাপাশি একটি আলাদা ফায়ারসার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা।
৮. সরকারী সকল দফতরের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে সরকার নির্ধারিত খরচে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে ডিউটি নিশ্চিত রাখা।
৯. মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ক্ষতির ধরণ গুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করা এবং প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
১০. সড়কের বিভিন্নস্থানে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, স্থানীয় ও গোষ্ঠীগত প্রভাব বিস্তার করে ইউনিয়ন পরিষদ ও সমিতির নামে চলমান চাঁদাবাজি দ্রুত বন্ধ করে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করা।