কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ

কাপ্তাই প্রতিনিধি:: প্রতি বছরের মতো এবারও ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত (১ মে) থেকে আগামী তিন মাসের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই লেকে সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্র জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এসময় বন্ধ থাকবে।
কাপ্তাই হ্রদ

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, এবছর ৮ হাজার ৫০৪ মেট্রিক টন মাছ আহরণের বিপরীতে ১৫ কোটি ২২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কম সংখ্যাক জেলে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন। পরিস্থিতি ভালো থাকলে রাজস্ব আদায় আরও কিছু বাড়তো। রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা মিলে সরকারি তালিকাভুক্ত প্রায় ২২ হাজার জেলে রয়েছেন।
কাপ্তাই হ্রদ

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ‘কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে ১ মে থেকে আগামী তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমও কাজ করে যাবে। এসময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ‘আমি সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলে দিয়েছি, হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধের পরবর্তীতে যতদিন পর্যন্ত জেলেদের মাঝে নির্ধারিত ভিজিএফ কার্ডের সহায়তা প্রদান করা হবে না, ততদিন পর্যন্ত করোনার ত্রাণ তহবিল থেকে তাদের যেন সহায়তা দেওয়া হয়। জেলেদের মাঝে নির্ধারিত ভিজিএফ কার্ডের খাদ্যশস্য বরাদ্দের বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি।‘