ঋষি কাপুরের শেষকৃত্য সম্পন্ন

প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুরের শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার বিকেলেই মুম্বাইয়ের চন্দনওয়াড়ি বৈদ্যুতিক চুল্লিতে সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের পরামর্শে তার মরদেহ বাড়িতে বা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়নি। সরাসরি চুল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে রনবীর কাপুর, রনধীর কাপুর, নীতু কাপুর সহ পরিবারের অল্প কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে ঋষি কাপুরের কন্যা ঋদ্ধিমা বিশেষ অনুমতি নিয়ে সড়ক পথে গাড়িতে করে দিল্লি থেকে রওনা দিয়েও মরদেহ দাহ করার সময় উপস্থিত হতে পারেননি। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন আলিয়া ভাট, কারিনা কাপুর ও তার স্বামী সাইফ আলি খান, অভিষেক বচ্চন, পরিচালক অয়ন মুখার্জি ও শিল্পপতি অনিল আম্বানিসহ কয়েকজন। সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, কড়া পুলিশ প্রহরায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। দেশে লকডাউন চলায় তার অনুরাগীরা তাঁকে শেষ দেখাও দেখতে পারেন নি।
দু বছর ধরে লিকোমিয়ার সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার সকালেই বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন অন্য ভুবনে। তবে যাবার আগে শেষ ইচ্ছে হিসেবে পুত্র রনবীর কাপুরকে শেষ দেখা দেখতে চেয়েছিলেন। গত বুধবারই শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তিনি তাঁর সময় ফুরিয়ে আসছে বুঝতে পেরে পুত্র রনবীরকে দেখতে চেয়েছিলেন। এই খবর জানানো মাত্রই রনবীর মধ্যরাতেই ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখানে পিতার পাশেই ছিলেন তিনি। এদিন মৃত্যুর পর ঋষি কাপুরের পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কান্না নয়, হাসির মধ্যে দিয়েই সবাই মনে রাখুক তাঁকে। আরও বলা হয়েছে, আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর হাসপাতালে এদিন সকাল ৮.৪৫ মিনিটে শান্তিতে মারা গেছেন। তিনি দু’বছর ধরে লিউকোমিয়ার সঙ্গে লড়াই করেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে অবধিও তিনি সবাইকে আনন্দ দিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই কঠিন সময়েও তিনি হাসিখুশি থাকার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। কঠিন সময়েও জীবনকে উপভোগ করেছেন। পরিবার, বন্ধু, খাদ্য ও ছবিকেই তিনি এই সময়ে প্রাধান্য দিয়েছেন। যাঁরা তাঁর সঙ্গে এই সময়ে দেখা করেছেন। তাঁরা অবাক হয়েছেন, এই অবস্থাতেও তিনি এতটা হাসিখুশি থাকতে পারেন কীভাবে! গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তাঁর ভক্তরা যে ভালবাসা দিয়েছেন, তার জন্য ঋষি কাপুর কৃতজ্ঞ। ঋষি কাপুর চাইতেন, কান্না নয়, হাসির মধ্যে দিয়েই সবাই তাঁকে মনে রাখুক ।