খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় জারি করা অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা চলছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে সীমিতসংখ্যক দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সড়কে খুব কম যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি উত্তরণে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শিক্ষক হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার শহরের পানখাইয়াপাড়া সড়ক ও মহাজনপাড়ায় অন্তত ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। দোকানের মালামাল সড়কে এনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। দোকানগুলোর অধিকাংশই কাপড়, চীবর, বিউটি পার্লার ও খাবারের। একটি প্রাইভেট হাসপাতালও ভাঙচুরের শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই পাহাড়িদের মালিকানাধীন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সংঘাত দেখা দিলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।