‘শিশুদের মননে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে’

জাতীয় শিশুকিশোর পত্রিকা মাসিক দুর্নিবার’র ১৬তম বর্ষপূর্তি, গুণীজন সম্মাননা এবং মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আজকের শিশুরাই আগামীতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাদের ওপরই নির্ভর করছে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বহুমুখি কর্মসূচীর মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশ ও উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যমে তাদেরকে সত্যিকারের সুনাগরিকে পরিণত করতে হবে। তাদের সাফল্যের স্বপ্ন দেখাতে হবে, উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে হবে। একই সঙ্গে সে স্বপ্ন পূরণের পথও বাতলে দিতে হবে। সাহায্য করতে হবে তাদেরকে সত্যিকারের সুনাগরিকে পরিণত হতে, সাহায্য করতে হবে উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠনে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক, সচেতন নাগরিক যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে একটি মেধাবী জাতি গঠন কোনো কঠিন ব্যাপার হবে না। শিশুদের সত্যিকারের মানুষে পরিণত করা গেলে দিন বদলের পথও মসৃণ হয়ে যাবে। শিশু-কিশোরদের প্রিয় মুখপত্র দুর্নিবার পত্রিকা বহুমুখী কর্মসূচীর মাধ্যমে যেভাবে শিশুদের প্রতিভা বিকাশে প্রশংসনীয় অবদান রেখে যাচ্ছে তা এক কথায় অনন্য, অসাধারণ, সৃজনশীল, নান্দনিক। অন্যরাও দুর্নিবারের অনুকরণ অনুসরণ করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। প্রফেসর ইফতেখার ১৫ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্টানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সাবিহা মুসা এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ, নজরুল গবেষক ড. কামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন দুর্নিবার সম্পাদক সাংবাদিক আবসার মাহফুজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক আবু তালেব বেলাল, অধ্যক্ষ সোলাইমান কাসেমী। সংবর্ধিত ৪ গুণীজন কবি-সাংবাদিক স্বপন দত্ত, কবি-সাংবাদিক এজাজ ইউসুফী, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী এবং শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীলের হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংস্কৃতিকর্মী দিলরুবা খানম। অনুষ্ঠানে ৪০ জন শিক্ষার্থীর হাতে মেধাবৃত্তির চেক, ক্রেস্ট ও অভিনন্দনপত্র তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দুর্নিবার সম্মাননা প্রাপ্ত ৪ গুণীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সবার আগে বাংলাদেশÑএই চেতনাকে ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে। মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের সেরা দেশে পরিণত করার চেষ্টা থাকতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে বড় কিছু করার স্বপ্ন নিজের ভেতরে সৃষ্টি করতে হবে। আজকের শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে। তাদের হাতেই রয়েছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চাবিকাঠি। তাই শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদেরকে যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন একটি আলোকিত জাতি গড়তে হলে শিশুদের মেধা বিকাশের বিষয়ে সকলকে সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে।