এলাকায় এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করুন

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, প্রতিটি এলাকায় এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করুন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেনতা বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু দিন দিন ভয়ানক আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে । ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। স্বচ্ছ পানিতেই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে পারে এমন কোন কাজ করা যাবে না। বিশেষ করে ডাবের খোসা যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। পানি কোনভাবেই জমিয়ে রাখা যাবে না। পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা জন্ম নেয় এমন জায়গা থাকলে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। কিন্তু জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে ঘাটতি রয়েছে। সিটি করপোরেশনে মশা নিধনের নামে হরিলুট করা হয়েছে। তাই জনগণকে সচেতন হবে আগে। আমাদের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। কেননা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশা বেশি জন্মায়। প্রতিটি ওয়ার্ডে কোথায় কোথায় মশা বেশি, কোন ধরনের মশার উপদ্রব বেশি এবং এ মশার জন্য কোন ওষুধ কতটুকু ছিটাতে হবে, তা নির্ণয় করে ওই জায়গায় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। যেন এসব জায়গায় নতুন করে মশা জন্মাতে না পারে।
তিনি আজ ২৯ সন্ধ্যায় সেপ্টেম্বর নগরীর একটি হোটেলে বিএনপির সাবেক কমিশনার ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেই আন্দোলনে শেখ হাসিনা লক্ষণ সেনের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আর সেই ছাত্র জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ ওয়াসিম। ছাত্র জনতার এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। যার প্রেক্ষিতে আমরা স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারতেছি। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্মের কারণে আজ শেখ হাসিনাকে পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে হয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বিএনপি। আপনাদের উপর জনগণ থাকিয়ে আছে। জনগণের কল্যাণে জনগণের পাশে থাকতে হবে। ভালো কিছু করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণ সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে হবে।
বিএনপির সাবেক কমিশনার ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামশুল আলম, আবুল হাশেম, শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী,ডা. নুরুল আবসার, মনোয়ারা বেগম, মোহাম্মদ ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, মোঃ সেকান্দর,এড. তারিক আহমদ,দিদারুর রহমান লাভু,সালাউদ্দিন কাউসার লাবু, সাদেকুর রহমান রিপন, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ মহসিন, জালাল উদ্দীন জসিম,ফরিদুল আলম, হাসান লিটন, হাসান চৌধুরী ওসমান, ইয়াকুব চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, আরিফুল ইসলাম ডিউক, মোঃ ওসমান, সোহরাব হোসেন, আবু মোহাম্মদ মহসীন,মোহাম্মদ হারুন, সায়েফুদ্দিন রাশেদ,মনোয়ারা বেগম মনি,জেসমিনা খানম,এড. পারভীন,কামরুন্নাহার লিজা, খালেদা বেগম,রোকসানা বেগম মাধু,আরজুর নাহার মান্না, শাহেনেওয়াজ চৌং,জিন্নাতুন নেছা জিনু,
মাহমুদা সুলতানা প্রমূখ।