অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ নির্দিষ্ট করতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নির্দিষ্ট করতে হবে। সব পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও আমরা বলতে চাই তাদের যে মূল দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত ঝিনাইদহের সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ উচ্ছিষ্ট প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছে। তাদের এই ছোট ছোট ঝড়যন্ত্র এক সময় মহাবিপদ ডেকে আনবে। তাই এদের অপসারণ করতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র ও দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে। এ সরকারের প্রতি সেদিনও আমাদের সমর্থন ও আস্থা ছিল, আজও আছে। আমাদের আস্থাকে প্রশ্নহীন রাখার চ্যালেঞ্জ কিন্তু তাদেরকেই নিতে হবে। স্বৈরাচার পতনের এই মহাসময়ে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষের অবদানকে যদি আমরা মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনার গুম, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার জনতার অবদানকে যদি স্বীকৃতি দিতে না পারি, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা ও মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব রনক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয় শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে। দুপুরের আগেই মহাসমাবেধে পরিণত হয় এই সমাবেশ। শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে ছাত্র-জনতাল আন্দোলনে তাদের উৎসাহ দেওয়া স্বৈরাচারবিরোধী নানা গান পরিবেশন করেন ঢাকা থেকে আসা শিল্পীরা। সমাবেশকে ঘিরে ঝিনাইদহ জেলাসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে বিএনপি প্রাণচাঞ্চল্য ফেরে নেতাকর্মীদের মাঝে।