হালদা সেতুর সুরক্ষা ব্লক ধস

শফিউল আলম, রাউজান ঃচট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে হালদা নদীর উপর নির্মিত রাউজান ও হাটহাজারী সংযোগ ‘হালদা সেতু’র গোড়ায় ধসে যাওয়া সুরক্ষা ব্লকের সংস্কার কাজের ৬ মাস যেতে না যেতে আবারো ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। হালদা সেতু সুরক্ষা ব্লক ধসে পড়ায় হালদা সেতুটি মারাত্বক ঝুকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে । চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কের রাউজান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা ও হাটহাজারী উপজেলার রুহুল্ল্রাপুর এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদীর উপর নির্মিত হালদা সেতুর গোড়ালী রক্ষা করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত বৎসরের বর্ষা মৌসুমে সেতু সুরক্ষা ব্লকের ধস হওয়া পর ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে সুরক্ষা ব্লক বাধ নির্মান করে। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে হালদা নির্মিত হালদা সেতুর সুরক্ষা ব্লকটি নির্মানের ৬ মাসের মধ্যে ফাটল দিয়ে ধসে পড়ে । এতে হালদা সেতুটি মারাত্বক ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে । চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের হালদা সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহি বাস, শত শত পন্যবাহী ট্রাক, শত শত সিএনজি অটোরিক্সা, কার মাইক্রোবাস, জিপ চলাচল করে। হালদা সেতুটির সুরক্ষা বাধ ধসে পড়ায় যে কোন সময়ে সেতুটি ভেঙ্গে বড়ধরনের দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে । হালদা একটা খরস্রোতা নদী, সুরক্ষা ব্লক কোনোভাবেই রাখা যাচ্ছে না। সংস্কার কাজ না করলে পুরো সেতুটিই চলে যেত। সড়ক ও জনপদ বিভাগ নদী শাসন করে না, পানি উন্নয়ন বোডর্কে পুরো এলাকাটায় ব্লক ফিটিং করার জন্য জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুর পূর্বপার্শে¦ ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় পাথর ব্লক ধসে নদীতে পড়ে গেছে । পাথর ব্লাকের ধসের কারণে উপরে পেলেস্তারে ফাটল ও আগামী বর্ষা মৌসুমে সেতুটি হুমকিরমুখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলদা সেতুর গোড়ায় সুরক্ষা ব্লক সরে যাওয়া স্থানে ধস ঠোকাতে লোহার পাইপ স্থাপন ও পাথর ব্লক বসানোর মাধ্যমে সংস্কার করা হলে ও সুরক্ষা ব্লক ও বাধ ধসে নদীতে পড়ে গেছে । সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত বর্ষা মৌসুমে সেতু সুরক্ষা ব্লকের ধস হওয়া পর ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার করেছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগ। গত ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট থেকে সেতু রক্ষায় সংস্কার কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে কাজ শেষ হয়। এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে প্রবল স্রোতে হালদা নদীর ভাঙনে সেতুর নিচে এপ্রোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি সংস্কার করা হয়। আমরা বল্লি গেড়ে এটি রাখার চেষ্টা করেছি। এটা কোনোভাবেই রাখা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি রাঙ্গামাটি বিভাগের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে জানিয়েছি। পুরো এলাকায় ব্লক ফিটিং করতে হবে। আমাদের বিভাগতো নদী শাসন করে না, এতবড় কাজ আমাদের পক্ষে সম্ভব না। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ ৩ মাসও টিকলো না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সংস্কার কাজ না করলে সেতুসহ পুরো জায়গাটা নদী গর্ভে চলে যেতো। আগামী বর্ষা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়বে, তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা জানিয়েছি। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি (এন-১০৬) জাতীয় মহাসড়কে রাউজান-হাটাহাজারী সংযোগ হালদা সেতুটি ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১০২ মিটার, প্রস্থ ১০.৪ মিটার।