‘তানজিমের নাম এদেশের এবং সেনাবাহিনীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কেন না সে মারা গেছে অনলাইন অব ডিউটিতে। অনলাইন অব ডিউটিতে মানে ইউনিফর্ম পড়ে অপারেশন করতে গিয়ে মারা গেছেন। এটা একটা দুর্ঘটনার বিষয়।’
কক্সবাজারে চকরিয়ায় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসে মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফজলে এলাহি আকবর এসব কথা বলেছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সাতজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির নেতারা সমবেদনা জানান নিহতের পরিবারকে। পরে নিহতের কবর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবর জিয়ারত করেছেন।
এসময় ফজলে এলাহি আকবর বলেন, ফুল ফুটতে না ফুটতেই শেষ হয়ে গেলো। এটা কিন্তু মেনে নেয়া যায় না। তবে এই পরিস্থিতি একটাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যে আমাদের দেশে এখনও অরাজকতা বিস্তার করছে। বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসনে এই হচ্ছে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি। এই ডাকাত আকারে, সন্ত্রাসী আকারে এই দেশকে যারা অস্থিতিশীল করছে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম, বর্ণ সকল ভেদাভেদ পেছনে ফেলে আমাদের একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই অন্তর্বর্তী যে সরকার দ্বিতীয় বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা করে এসেছে। এটা কোনভাবেই ফেল করা যাবে না। এ কারণে আমাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। যাতে আমরা চিরতরে বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদী সরকার সৃষ্টি হতে না পারে সেই চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে আমরা যদি ডিপলিসাইস করতে পারি এবং ইলেকশন কমিশনকে যদি স্বাধীন ও টান্সফারেন্ট করতে পারি তাহলে এ দেশে আর কোন ফ্যাসিস্ট সরকার জন্ম নেবে না।
ডাকাত বলেন, সন্ত্রাস বলেন, তারা সেনাবাহিনীকে যদি মারতে পারে তাহলে মনে করতে হবে তারা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী।
এসময় লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) শামসুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সিদ্দিক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সাঈদ, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিদ্দিক, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) মান্নান, জেলা বিএনপির সভাপতি হানানুজ্জামী শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
