মানুষের পাশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ত্রাণ পাচ্ছে না, সরকার দলীয়রা সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে

দ্বিতীয় পর্যায়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনে কলে বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ত্রাণ পাচ্ছে না, সরকারদলীয়রা সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস’র ফলে সবকিছুই বন্ধ হওয়ার পর থেকে প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১০০০০ (দশ হাজার) পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শেষে করেছি। আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরের ৪৩ টি ওয়ার্ডে আরো ১০০০০ (দশ হাজার) পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গরীব অসহায় দু:স্থ মানুষ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। সরকারি ত্রাণ গরীব অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছে না। অন্যদিকে চাল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। শুধু তাই নয় মাছ, মাংস, কাঁচা সবজির দাম জনগণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ডা. শাহাদাত আরো বলেন, প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই এই মুহূর্তে সবাইকে ঘরে থেকে বের না হয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে। তিনি আজ ২৯ এপ্রিল, বুধবার দুপুরে প্রবর্তকস্ত ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের সামনে প্রথম ধাপে ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ কাছে ত্রাণ হস্তান্তরের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরী ৪৩ টি ওয়ার্ডে আরো ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, সহ-দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল বাবুল, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাজী ইমরান উদ্দিন, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ খোরশেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এর পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনা সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন, করোনাভাইরাসের এই মহাদুর্যোগে দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সরকারী ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকারি সাধারণ ছুটির কারণে দেশের প্রতিটি সেক্টরের মানুষ আজ দিশেহারা। তাদের খাদ্য ঘাটতি, আর্থিক সংকট সবকিছুর সমিকরণ উল্টো হয়ে যাচ্ছে। যেসব মুক্তিযোদ্ধারা দেশ মাতৃকার টানে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তারাই আজ সবচেয়ে বেশী কষ্টে আছে। তারা সরকারি ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আজ ২৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরন কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষের উৎপাদন শক্তি কমে গেলেও খাদ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। সরকারের ভুলনীতির কারণে যদি ঘাটতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয় তাহলে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। বর্তমানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোর কাজকর্ম নেই, আবার তারা ত্রাণও পায় না। সরকারি কিংবা বেসরকারি লিষ্টে তাদের কোথাও নাম নেই। সরকারি ত্রাণ যা আসছে তা চলে যাচ্ছে আওয়ামী চাল চোরের গুদামঘরে। এই
চাল চোরেরা গরিবের হক মেরে খাচ্ছে। আবার কেউ কেউ চাল বিতরণের নামে ছবি তুলে তা ছিনিয়ে নিচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী, এমপিরা এখনো গলাবাজিতে সময় পার করছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ এক হয় তাহলে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য। তাই এই মহাদুর্যোগ মুহূর্তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমানে মানুষের আয়ের অনুপাতে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। বাজারে চাল, ডাল, তেল ও শাকসবজি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনা ভাইরাসের এই সংকটের মধ্যে খাদ্য সামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি অমানবিক ও ভোক্তা
অধিকারের চরম লংঘন। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার। অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম-সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর যুবদলের সহ সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দীন, মোঃ সোহেল চৌধুরী, নগর ছাত্রদল নেতা মোঃ শফিউল আলম প্রমূখ।