আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিষ্ট সরকার। এই বিদায়ী জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে দেশের কেউ রক্ষা পায়নি। যেখানে তারা জুলুম করেনি। এই জুলুমবাজ সরকারের হাতে সাধারণ জনগণ কথা বলতে পারে নাই। তারা সবচেয়ে বেশি অন্যায় করেছে জামায়াতে ইসলামীর সাথে। তারা আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জে দারুল ইসলাম একাডেমিক মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন দলটির আমীর।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়া বলতে আইন হাতে না তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে জামায়াতের যারা ক্ষতি করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সদ্য দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, আপনি দেশে ফিরে এসে মামলা মোকাবেলা করুন। আপনি নিজেই তো এতদিন বলেছেন দেশের বিচার ও আইন স্বাধীন।
জামায়াত প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না জানিয়ে ডা.শফিকুর রহমান দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কারও ওপর প্রতিশোধ নেবেন না। তবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের দেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু ইস্যু হচ্ছে সমাজকে শোষণ করার অন্যতম হাতিয়ার। তাই কোনোভাবেই সম্প্রীতি নষ্ট করা চলবে না। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে। আর কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, জালিম সরকারের নানা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক সাথীকে তারা হত্যা করেছে। অবশেষে তারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এমন রাজনীতি তারা করেছে দেশে তাদের জায়গা হলো না। অথচ বিগত দিনে আমাদের উপর কত জুলুম নির্যাতন হলো। আমরা কিন্তু পালাইনি। এটা আমাদের দেশ। আমরা এখানেই থাকবো।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের কোন সাংবাদিক স্বাধীন ছিল না। এখন আপনারা স্বাধীন। আপনারা বিবেক দিয়ে কাজ করবেন। আমরা ষোষনা দিয়েছি কোন প্রতিশোধ নিবো না। এটা যুগ যুগ প্রতিহিংসা ছড়ায়। আমরা এ রাজনীতি করি না। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় সব মোকাবেলার কথা বলেছি।
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহিনুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার জামায়াত ইসলামীর রুকন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।