চট্টগ্রামে ৮ দফা দাবী আদায়ে সনাতনীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিচারসহ আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সম্মিলিত সনাতনী সমাজ-বাংলাদেশ। আজ বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের জামালখান এলাকায়।

‘সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু সনাতনীদের ভাগ্যবদল হয় না। কিছু হলেই সনাতনীদের ওপর হামলা হয়। তাঁদের বাড়িঘরে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়।’

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেছেন উপস্থিত বক্তারা। নগরের জামালখান এলাকায় এ সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত সনাতনী সমাজ-বাংলাদেশ। এতে বক্তারা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটিসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন।

বিকেল তিনটার আগে থেকে জামালখান চত্বরে অবস্থান নেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলেও ছাতা হাতে অবস্থান নেন তাঁরা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পুণ্ডরীক ধাম-হাটহাজারীর অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। সমাবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও শহরের ওয়ার্ডগুলো থেকে সনাতনীরা অংশ নেন। এ সময় তাঁরা সনাতন সমাজের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বক্তারা বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে সনাতনীরা আতঙ্কিত। সুন্দরভাবে সনাতনীদের এই সর্ববৃহৎ উৎসব উদ্‌যাপনের জন্য বৃহত্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। এ ছাড়া দুর্গাপূজায় ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়ে আমরা জানতে চাই। পাশাপাশি হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও বাড়িঘর সরকারিভাবে মেরামত ও সংস্কার করতে হবে। যারা নিহত হয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সমাবেশে জানানো হয়, আগামী এক মাস দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, পাড়া ও মহল্লায় আট দফা দাবির সমর্থনে গণসংযোগ হবে। দুর্গাপূজার আগে আট দফা দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে সমাবেশে ঘোষণা দেন বক্তারা।

সনাতন সম্প্রদায়ের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, দুর্গাপূজায় ছুটি পাঁচ দিন করা।