দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক ভবন ঘুরে দেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অন্য প্রসিকিউটররাও।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আসামি রাখার স্থান হাজতখানা থেকে শুরু করে আসামির পরিবারের বসারস্থানসহ যাবতীয় বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
ছাত্র-জনতার ওপর চালানো গণহত্যার বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। পুরোনো ট্রাইব্যুনাল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কয়েক বছর আগে টিনশেড ভবনে চলে আসছে বিচারকাজ। তাই মানুষের নজর থাকবে একতলা টিনশেড ভবনের এই ট্রাইব্যুনালের দিকে। বিচার চলাকালে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষরাও আসতে পারেন। এ কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তোড়জোড় চলছে প্রসিকিউশনের।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে হতাশার কথায় জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
বলেন, ‘মানসম্মত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নয়। এজলাস কক্ষে সরু গলি দিয়ে ঢুকতে হয়। এই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো বিদেশি এলে তারা অবাক হবেন, ভাববেন কী করে আধুনিক একটা ট্রাইব্যুনাল এখানে হতে পারে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা কক্ষ তালাবদ্ধ করে চলে চাওয়ায় আগের মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, দ্রুত বিচারক নিয়োগ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে নজর দেয়া উচিৎ অন্তর্বর্তী সরকারের।