তৈরি পোশাক কারখানায় কিছুতেই কাটছে না অস্থিরতা। বেতন বাড়ানোসহ নানা দাবিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অসন্তোষ চলছে। তবে এর মধ্যে শ্রমিকরা কখনও নিজে কর্মস্থলে আগুন দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীতে শিল্প মালিক ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা তার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বহু শিল্প মালিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। এ কারণে সেসব ফ্যাক্টরিতে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না। ফলে অসন্তোষও থামছে না।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিক কখনও তার কর্মস্থলে আগুন দিতে পারে না, বাইরের অপশক্তিতে এসব হচ্ছে।’
গোয়েন্দা তথ্যের কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে জুট ব্যবসার দ্বন্দ্বে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে শিল্প নগরীতে অসন্তোষ কাটছে না।’
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশ শ্রমিক-অধিকার একশত ভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি। আমাদের এখানে রাতারাতি সব সমস্যা সমাধান সম্ভব না। শ্রমিকদের অনেক দাবি যৌক্তিক, মালিকরা চাইলে পূরণ করতে পারেন। আবার কিছু দাবি এখনই বাস্তবায়ন যৌক্তিক না। ন্যূনতম মজুরি এখনই দ্বিগুণ করার দাবি বাস্তবসম্মত কিনা, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, গাজীপুরে ৮টি ও সাভারে ১০৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ থাকলেও শতভাগ উৎপাদন কার্যক্রম চলছে নারায়ণগঞ্জে। দেশে মোট ৮৭৬টি পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে।