বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।
পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, এখন (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ১১১টি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
এর মধ্যে রিভলবার সাতটি, পিস্তল ৩০টি, রাইফেল ৯টি, শটগান ১৫টি, পাইপগান ৩টি, শুটারগান ১৬টি, এলজি ১৫টি, বন্দুক ৫টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান একটি, এসবিবিএল ৩টি, এসএমজি ৩টি ও একটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র্যাব রয়েছে।