বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার দাবি দিবসের সমাবেশ আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় নগরীর আম্দরলিল্লার মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়।বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার; আইন শৃংখলা পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণ ; দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা গ্রহণ, রেশনিং চালু; খেলাপি ঋণ ও পাচারের টাকা উদ্ধার, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের বিচার, সম্পদ বাজেয়াপ্ত; সংস্কারের রূপরেখাসহ রোডম্যাপ ঘোষণা ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুসহ নির্বাচন ব্যাবস্হার সংস্কার; গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনা শুরু করার দাবিতে দেশব্যাপী দাবি দিবস কর্মসূচি পালন করে এই জোট।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ( মার্ক্সবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড শফিউদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি কমরেড অশোক সাহা, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়সহ অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ।সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা আহমদ জসীম। সমাবেশ বক্তারা বলেন- ছাত্র জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের ফ্যাসীবাদি রাজত্বের পতন ঘটলেও সেই শাসন প্রশাসন ব্যবস্থা এখনো পাল্টায় নি। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিক দিয়েও অনেক কথা বলা হলেও আইনশৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের আকাঙ্খা পূরণের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয় নি। এরমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার ঘটনা, মাজার হামলার মতম ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষসহ জনগণের মধ্যে গভীর উৎকন্ঠা তৈরি হ’য়েছে। অতীতের মতন করেই গণহারে মামলার মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে মানুষের পুরোনো ধারণাই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর যেকোনো সময়ে ভারতের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার বক্তব্যকে অনভিপ্রেত বলে ভারত সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।একইসাথে বক্তারা বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকাসহ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের নানা আন্তর্জাতিক কূটকৌশল মোকাবিলা করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানানো হয়। দাবি দিবসের এই কর্মসূচিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, মব ট্রায়াল বন্ধ, সংস্কারের রুপরেখা ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বাড়ি আমাদের চট্টগ্রাম ‘‘আইনশৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয় নি’’