লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নতুন ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। ভাঙন শুরু হয়েছে রহমতখালী নদীতে। স্থানীয়দের দাবি, ভাঙন রোধে দ্রুত যেন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, নদী ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে লক্ষ্মীপুরের তুলনামূলক উঁচু এলাকা থেকে। পানি নামা শুরু হতেই রহমতখালী নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই নদী গ্রাস করছে বসতঘর, দোকান ও ফসলি জমি।
স্থানীয়রা জানান, রহমতখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, টুমচর, কালিরচর এবং ভবানীগঞ্জ গ্রাম। এই নদীর দুই পাশের শতাধিক পরিবার গত কয়েকদিনে হারিয়েছেন তাদের সর্বস্ব।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, চোখের সামনে পূর্ব পুরুষের কবর এবং ভিটি নিমিষেই শেষ।
হেলাল পাটওয়ারী নামে অপর একজন বলেন, নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে বিলীন হয়ে যাবে পিয়ারাপুরসহ চারটি গ্রাম।
এদিকে, গতকাল রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নদী ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পিয়ারাপুর গ্রামবাসী। এসময় বক্তব্য রাখেন ভূঁইয়া মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মহিন উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম, হেলাল উদ্দিন পাটওয়ারী ও মো. সুমন। এছাড়া পিয়ারাপুরসহ আশপাশের গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, ভাঙনরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।