নেপাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারী। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্যের পরিমাণ আশানুরূপ নয়। দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করে নেপালের রাষ্ট্রদূত তাঁর দেশের আগ্রহের কথা জানান। সাক্ষাতের সময় দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্য বৃদ্ধি, নেপালি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদান, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদানসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উপদেষ্টা বলেন, নেপাল বাংলাদেশের অন্যতম নিকটবর্তী প্রতিবেশী ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম।

রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে প্রায় তিন হাজার নেপালি শিক্ষার্থী মেডিকেলসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছে। তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উপদেষ্টার সহযোগিতা চান ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ করেন। উপদেষ্টা এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের কিছু নদীর উৎসমুখ একই বিধায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের ক্ষেত্রে দুদেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে। সে অনুযায়ী নেপাল বাংলাদেশকে বন্যা পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে অনিষ্পন্ন বিষয়সমূহ সমাধানের লক্ষ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।