ধৈর্য্য ও সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায়রত হয়ে পৃথিবী রক্ষার আহবান

বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেন, একটানা ছুটির কারনে ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে মানুষ কর্মহীন ও শ্রমহীন হয়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া শ্রমিক বিশেষ করে , রিকশা চালক, ভ্যান চালক, সেলুন,নির্মাণ শ্রমিক,হোটেল শ্রমিক, দোকাান কর্মচারী, চা দোকানদার কর্মহীন হয়ে নিদারুন কষ্টের মধ্যে আছে। যত দিন যাচ্ছে তত কষ্টের পরিমানও বেড়ে যাচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারে সবসময় সদয় আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মরণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অগ্রিম সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যাতে দেশের একটি মানুষও অভুক্ত না থাকে। সেই লক্ষ্যে তিনি প্রথম থেকেই খাদ্য মজুদ ও দ্রুত ত্রান বিতরণ ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে তিনি জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচেতনায়, বিশেষ করে এর সাথে জড়িত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুেেষর হাতে এখন সরকারি ত্রাণ পৌঁছেছে। করোনা পরিস্থিতির সাধারণ ছুটির আজ ৪০ তম দিন অতিক্রম করছে দেশ। এসময়ের মধ্যে বিশ্বে অনেক প্রভাবশালী দেশও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে শুধুমাত্র বিচক্ষণ নেতৃত্বে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ পরিচালনায় আমরা এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুতর সমস্যায় পড়িনি। শুধুমাত্র সরকারি ত্রাণের উপর নির্ভর না হয়ে কর্পোরেট মালিক, বড় ব্যসায়ীদের সামার্থানুযায়ী পবিত্র মাহে রমজানের এই মাসে ছোয়াব ও মানবতার উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মেয়র বলেন, এখনও পর্যন্ত যারা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন নি অবশ্যই স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কোন ধরনের ঘাটতি নেই। যারাই ত্রাণ পাওয়ার অগ্রাধিকারে আছেন তারা যদি নিজ দায়িত্বে তালিকাভুক্ত না হন তাহলে এই দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের উপর বর্তাবে না।আমি নগরবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলবো- যারা এই পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হননি, অনুগ্রহ করে আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন। অন্তর্ভূক্তির পর ত্রাণ সহায়তা পেতে কোন ব্যত্ব্যয় ঘটলে তার দায়িত্ব আমি নিজেই নেব। মেয়র নগরবাসীকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত নিয়ম মেনে চলার আহবান জানান। আগামীতে এভাবে সমন্বয় করে চলতে পারলে আমরা নতুন এক পৃথিবী দেখতে পাবো ইনশা আল্লাহ । মেয়র নগরবসীকে পবিত্র এই রমজান মাসে ধৈর্য্য ও সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায়রত হয়ে পৃথিবী রক্ষার আহবান জানান।