চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড়ে গণেশ পূজার প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে গরম পানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর কদমমোবারক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টায় জামালখান ও মোমিন রোড এলাকায় জড়ো হন তারা। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে।
এদিকে গুজব ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
তিনি বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক বিরোধ বাধানোর চেষ্টা করছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের কাছে অনুরোধ, আপনারা কারও উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা সবাই মিলে তাদের প্রতিহত করব। এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষ থাকবে, প্রত্যেকেই নিজ নিজ উৎসব পালন করবে। যারা ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জারি থাকবে।’
রাত সাড়ে ১২টায় সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, ব্যাটারিগলি ধোপাপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক মৃৎশিল্পী উত্তম পালের কারখানা থেকে ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে উসকানিমূলক গুজব না ছড়াতে মাইকেও ঘোষণা দেওয়া হয়।
সবাইকে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতারা বলেন, বর্তমানে সব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনীও উপস্থিত আছেন। সব স্বাভাবিক হচ্ছে। এসব নিয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে।