মুরাদপুরে ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে মানবসৃষ্ট যানজট এড়াতে মুরাদপুরে ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।

অাজ শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে নগরের মুরাদপুরে প্রস্তাবিত ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া চলতি সপ্তাহে জিইসি এলাকায় আরও দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ব্রিজ নির্মাণ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুরাদপুর পুলিশ বক্সের পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি। ম্যাক্স কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে একপাশে গর্ত খনন শেষ হয়েছে, অন্যপাশেও চলছে কাজ।

চউক এর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে মুরাদপুরের ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্রিজটি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে পুলিশ বক্স বরাবর গিয়ে নামবে। প্রায় ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের ব্রিজটি নির্মাণ হবে স্টিল স্ট্রাকচারে। নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ।’
তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে জিইসি মোড়ে আরও দুটি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর মধ্যে একটি ফুট ওভারব্রিজ জিইসি মোড় জামান হোটেলের সামনে থেকে কামাল স্টোরের সামনে, অন্যটি ব্যাংক এশিয়া ভবনের সামনে থেকে জিইসি কনভেনশন সেন্টারের সামনে গিয়ে নামবে।’

ছবি: জাহাঙ্গীর আলম
এ ব্যাপারে চউক চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম বলেন, ‘মুরাদপুর ও জিইসি নগরের ব্যস্ততম এলাকা। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ সড়কের ওপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটে পড়ে মূল্যবান সময় গাড়িতেই চলে যায়। তাই মানুষের সুবিধা এবং যানবাহন চলাচলে গতি আনতে ফুটওভার ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে যানজট এড়াতে লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। এর ফলে মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসা, লালখান বাজার পর্যন্ত যানজট অনেকটা কমে গেছে। ফ্লাইওভারের নিচেও যান চলাচলে গতি এসেছে। ফুটওভার ব্রিজগুলো নির্মাণের পর পুরোপুরি যানজট কমে যাবে।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কটি নগরের লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত। চউক এর হিসেবে, গড়ে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে দেড় লাখের বেশি যানবাহন চলাচল করে।