স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা: ফেনীতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৭

ফেনীতে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, চারজন নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, বাকিদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। অধিকাংশ লাশই জোয়ারের পানিতে ভেলাতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে পানি কমে যাওয়ায় অনেকের গলিত মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।

August 24, 2024, Mirsarai, Chittagong, Bangladesh: Pedestrians wade through flooded roads in floodwaters up to their waists and knees in Bishumia Hat, Mirsrai, southern Bangladesh. At least 15 people have been killed, a total of 43 upazilas in several districts of Bangladesh have been affected by the flash floods and around 1,89,663 families have become waterlogged.

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে ফেনী জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় অন্য কয়েকটি সূত্র বলছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।

মৃতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন, একই উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের দেলোয়ার হোসেন, ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের শাকিলা আক্তার , উত্তর করইয়া গ্রামের বেলালের ছেলে কিরণ , দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু , কিসমত বাসুড়া গ্রামের আবুল খায়ের , লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক , শনিরহাট গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে রজবের নেচা, সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মাবুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন , ছাড়াইতকান্দি গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে আবির, দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর করিমপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ মিরাজ ও জয়লস্কর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে জাফর ইসলাম।

এ ছাড়া ফেনী সদর উপজেলায় অজ্ঞাত দুইজন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর বন্যায় নিহত অপর এক পুরুষ ও এক হিন্দু নারীর পরিচয় এখনো মেলেনি।