ফিল্ড হাসপাতালের প্রশংসা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা

ফিল্ড হাসপাতালেরে প্রশংসা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে হটাৎ করে ফোন দিয়ে আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সব কিছু দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ও প্রশংসা করেছেন। আমাদের সাথে আগামীতে যোগাযোগ করবেন এই আশ্বাস দিয়েছেন।

ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সফল করোনা যোদ্ধা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে হটাৎ করে ফোন দিয়ে আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সব কিছু দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ও প্রশংসা করেছেন। আমাদের সাথে আগামীতে যোগাযোগ করবেন এই আশ্বাস দিয়েছেন। যখন সারা দেশে করোনা রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা প্রমাণ করতে চাই, করোনা রোগীরা অবহেলার পাত্র নন। নিজেরা নিরাপদে থেকে তাদের সেবা দেওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী দেখে ভীত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সাধারণ ভাইরাসের লক্ষণের সাথে করোনা ভাইরাসের লক্ষণের অনেক মিল থাকলেও কিছু উপসর্গ মারাত্মক ভাবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু শুরু থেকে উপসর্গগুলোর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হলে ৯৭ শতাংশ রোগী সুস্থ্য হয়ে যায়।

উলেখ্য সীতাকুণ্ডে এক লাখ মানুষের আর্থিক সহায়তায় উদ্যোগের মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে চালু হয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের প্রথম একটি অস্থায়ী ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। ২১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকায় এ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

জানা গেছে, দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপের দেয়া একটি দ্বিতল ভবনের ৬ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে হাসপাতালটি। এর জন্য ইতোমধ্যে ১০টি আইসিইউ বেড ও চারটি ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে মোট ৩৫ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার বড় ভাই আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ হাসপাতালে উদ্যোক্তা। তিনি একমাস আগে ফেসবুকে এ হাসপাতালে নির্মাণের কথা জানিয়ে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।

সেখানে তিনি বলেন, মাত্র এক লাখ লোক ১০০ টাকা করে দিলেই এক কোটি টাকার ফান্ড হবে, আর এ টাকায় হাসপাতাল তৈরী সম্ভব। এরপর ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। কোন শিল্পপতির কাছে অনুদান চাওয়া হয়নি বলে জানান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। একলাখ মানুষের টাকা দিয়ে এ হাসপাতাল তৈরী হয়েছে। তবে ভবন ও জায়গা দিয়ে এর সাথে শরিক হয়েছেন নাভানা গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম।

এদিকে, নব নির্মিত এ ফিল্ড হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে প্রায় ২৮৭ জন তরুণ আবেদন করলেও ২৫ জনকে নির্বাচিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে করোনা রোগীর যত্ন বিষয়ক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। উদ্যেক্তা জানান ৩৭টি বেড স্থাপন করেছি। যেখানে থাকছে ৫টি ভেন্টিলেটর বেড। এছাড়াও আছে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি মাইক্রোবাস রোগী ও চিকিৎসক পরিবহনে। ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যেই আমরা চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছি।