ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলার আহবান মেয়রের

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রমজানে মসজিদে এশা ও তারাবী নামাজ আদায়ে যে নির্দেশনা (দুই জন হাফেজ সহ ১২ জন মুসল্লি নিয়ে জামাত) ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে সেটা মেনে চলার আহবান জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি ইফতার মাহফিল বা এ ধরনের কোন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে বিরত থাকারও আহবান জানান। তিনি বলেন, রমজানে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী সততা ন্যায়নীতি ভুলে অতি মুনাফা লাভের প্রতিযোগিতায় নামে। তারা রমজান মাসকে মুনাফার হাতিয়ার করে ফেলে। অথচ রমজান হচ্ছে সংযম, ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির উত্তম সময়। তিনি পন্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভোগ্যপন্য ভেজাল বিরোধী অভিযান কাঠোরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি রমজান মাসে গরিব ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। আজ অপরাহ্নে দেওয়ানহাট সমাজ কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারন সস্পাদক লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেওয়ানহাট জামে মসজিদ, দেওয়ানহাট সানা উল্লাহ মসজিদ, দেওয়ানহাট দীঘির পাড় মহল্লায় প্রায় ২ শত পরিবারের মাঝে ইফতার-সেহেরী সামগ্রী প্রদান কালে মেয়র এসব কথা বলেন। এসময় দেওয়ান হাট সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাধারন সম্পাদক হাজী মো. ইদ্রিস কাজেমী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ লোকমান, হাজী মাহফুজর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সদর দপ্তরের ডেপুটি গর্ভনর মোহামমদ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান, জাহেদ তানসির, শেখ মোহাম্মদ আকতার উদ্দীন, শেখ মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, মোহাম্মদ সোলেমান, জাবেদ আলী মেম্বার, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র আরো বলেন, আজ প্রথম রমজান শুরু হয়েছে। রমজান হচ্ছে রহমত, নাজাত ও মাগফেরাতের মাস। পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম পালনের মাধ্যমে মানুষ পরষ্পরের মধ্যকার হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা ও গুনাহসমূহ জ্বালিয়ে ফেলে। সিয়াম পাপিষ্ঠদের পাপ মোছন করে, নেককারদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার আরো বেশি সুযোগ এনে দেয়। মাহে রমজানের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা। এ রমজান মাসের রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দার মনে ভয় সৃষ্টি হয়। আল্লাহ্র কাছে মান মর্যাদা নির্ধারণের একমাত্র উপায় তাকওয়া। এই তাকওয়াই মানুষের মনে সৎ গুণাবলী সৃষ্টি করে। সুতরাং যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত থেকে ভালো কাজ করতে পারলেই আমাদের রোজা পালন সার্থক হবে। এই রমজান মাস থেকে আমাদের তাকওয়া শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মাহে রমজানের রোজা মানুষের স্বভাব-চরিত্র, আচার-আচরণ সংশোধনপূর্বক প্রকাশ্যভাবে সুন্দর করে দেয় এবং মানুষের পার্থিব লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরচর্চা, পরনিন্দা, মিথ্যাচার ও প্রতারণা প্রভৃতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখে আত্মসংযম শিক্ষা দেয়।