হাটহাজারীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ

হাটহাজারী প্রতিনিধি: ছাত্রদের আন্দোলনে তোপের মুখে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ। শ্রেণিকক্ষে আয়নাঘর নিয়ে আলোচনা করার অপরাধে এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে কানে ধরানোর অভিযোগ এনে ফুঁসিয়ে উঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে (২১ আগস্ট) বুধবার দুপুরে উপজেলার চারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে সামাজবিজ্ঞান ক্লাসে আয়নাঘর নিয়ে আলোচনা! বঙ্গবন্ধু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ এনে ফুঁপিয়ে উঠেন, প্রধান শিক্ষক শফিউল আজম। প্রকাশ্যে শাহ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক শিক্ষককে কানে ধরিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা আদায় করেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা অবরোধ করে অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শফিউল আজমের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগানে স্লোগানে ছাত্রজনতা জমায়েত হয় ওই বিদ্যালয়ের মাঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর টিম ও থানা পুলিশ ফোর্স উপস্থিত হয়।
দীর্ঘ ৪ ঘন্টা শিক্ষকরা অফিসে অবরুদ্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন, প্রধান শিক্ষক শফিউল আজম। তিনি পদত্যাগ পত্রে লিখেন, এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদের অভিযোগের মুখে আমার বিরুদ্ধে এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউএনও স্যার দ্বারা গ্রহনকৃত যেকোন সিদ্ধান্ত বা পদত্যাগ হলেও মেনে নিতে বাধ্য হব। ছাত্রদের দাবির মুখে আমি পদত্যাগ করলাম।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান জানান, ছাত্রদের দাবির মুখে চারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এরপর স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। আয়নাঘর নিয়ে আলোচনা করার অপরাধে প্রধান শিক্ষক যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারই বর্ণনায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।