বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগের মসনদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস

খুনী হাসিনা সহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে দীপ্তি- সাহেদ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গুম খুন করা হয়েছে। এমনকী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসব হত্যাকান্ডে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানাই। ছাত্রজনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই সফল গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করতে ভারতে পলাতক খুনী হাসিনা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে যা এই দেশের তরুণ প্রজন্ম মেনে নেবে না। তিনি বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, ছাত্রজনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের আইনের মুখোমুখি এনে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল নগরীর ওয়াসার মোড় থেকে শুরু হয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগের মসনদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আছে। তিনি অবিলম্বে খুনী হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সরকার যতটা নির্দয়ভাবে বর্তমানে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং গত ১৭ বছর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছে, গত ১০০ বছরে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো আন্দোলন দমনে এতটা নির্মমতা ও হত্যাযজ্ঞ দেখা যায়নি। সব দমন-পীড়ন হজম করে জনতার যে ¯্রােত রাজপথে নেমে এসেছিল, তার বিজয়ও জনগণ দেখেছে। জনগণ এটাও দেখেছে, কিভাবে একটি অত্যাচারী জনবিচ্ছিন্ন সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজকের বাস্তবতায় প্রমাণ হয়েছে, জনগণের শক্তির কাছে কোনো ফ্যাসিবাদই টেকসই নয়।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ’র সঞ্চালনায় এতে মহানগর যুবদলের সি. সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, আজমুল হুদা রিংকু, নুর আহমেদ গুড্ডু, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, জসিমুল ইসলাম কিশোর, অরূপ বড়–য়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, হুমায়ূন কবীর, মো. এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা শাহরিয়ার জিয়া, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল পলাশ, জাফর আলম খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ আলী, আজিজুর রহমান মাসুম, মহিউদ্দিন মুকুল, গাজী ফারুক, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জৌতি বড়–য়া, কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, মিজানুর রহমান বাবুল, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, আরিফ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আবুল কালাম, ফারুক হোসেন স্বপন, গুলজার হোসেন মিন্টু, হাফেজ কামাল উদ্দীন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ জামান, মিজানুর রহমান দুলাল, মিফতাহ উদ্দীন সিকদার টিটু, মো. ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, মাহবুব খান জনি, মো. কলিম উল্লাহ, সাইদুল হক সিকদার, আজিজ চৌধুরী, থানা যুবদলের আহবায়ক মোশাররফ আমীন সোহেল, হোসেনে মোবারক রিয়াদ, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর আলম মঞ্জু, সাইফুল আলম রুবেল, মোরশেদ কামাল ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক আবু বক্কর বাবু, মোহাম্মদ আলী, আকতার হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সাইফুল আলম, মো. মুজাহিদ, রাসেল খান, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।